দিনাজপুরের হিলিসহ সারাদেশই প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়ছে। প্রখর রোদের পাশাপাশি ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি মিলেছে না কোথাও। ছোট-বড় সবাই গরমে কাবু হচ্ছে। অনেক সময় নিজেদের অজান্তেই দূষিত পানি ঢুকে যাচ্ছে পেটে, আর দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া। বিশেষ করে শিশুরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
হাকিমপুর (হিলি) হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাধারণ সময়ের তুলনায় এখন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের অধিকাংশই শিশু। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসকরা নিয়মিত চিকিৎসা দিচ্ছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা মনোতোষ কুমার শাহ বলেন, আমার মায়ের হঠাৎ মাথাব্যথা ও পেটব্যথা শুরু হয়। পরে মা’কে নিয়ে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসেছি এবং ডাইরিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করালাম। ডাক্তার প্রথম অবস্থাতে স্যালাইন দিয়েছে। আগের থেকে এখন অনেকটাই সুস্থ।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা আরজেনা বেগম বলেন, মেয়েকে নিয়ে গত দুদিন আগে দিনাজপুর বাবার বাসা থেকে হিলিতে শ্বশুরবাড়িতে আসছি। অতিরিক্ত গরমের কারণে মেয়ের ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি আছি। এখন পর্যন্ত তিনটি স্যালাইন দিয়েছে। আগের থেকে মেয়ে এখন সুস্থ।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইলতুতমিশ আকন্দ বলেন, সারা দেশ প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে রয়েছে। ছোট থেকে বড় সবাই গরমে কাবু হচ্ছে। আর তাতে শরীরে পানির চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে পানির মাধ্যমে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ছে। সাধারণ সময়ের তুলনায় এখন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের বেশিরভাগই শিশু। ঈদের দিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বর্তমানে রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক রয়েছে। তবে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ জন ডায়রিয়া রোগী আসছে চিকিৎসা নিতে। কেউ কেউ হাসপাতালেই ভর্তি হচ্ছেন, আবার কেউ চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যাচ্ছেন।
এদিকে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যা ৬ টায় ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৬ শতাংশ। তবে বুধবার এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অফিস কোনো বার্তা দেয়নি।