ঢাকা , বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

৮ শর্তে রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে সমাবেশের অনুমতি পেল বিএনপি

ছবি সংগৃহীত

আট শর্তে রাজশাহীর হাজী মুহম্মদ মুহসীন উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে বিএনপিকে বিভাগীয় গণসমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক এই মাদরাসা মাঠে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) এ-সংক্রান্ত একটি অনুমতিপত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর কাছে পাঠানো হয়েছে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, ১ ডিসেম্বর থেকে গণসমাবেশের জন্য মাদরাসা মাঠ ব্যবহার করতে পারব। এর আগে, ওই মাঠ বা আশপাশের এলাকায় কোনো কার্যক্রম চালাতে পারব না।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে এখনও পরীক্ষা চলছে। তাই পরীক্ষা শেষ হলে ১ ডিসেম্বর থেকে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বিএনপি শুধু ৩ ডিসেম্বর মাঠ ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে।

অনুমতিপত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে আটটি শর্ত তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হলো ১. মাদরাসা ময়দান চত্বরের মধ্যে সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। সমাবেশস্থলের আশপাশসহ রাস্তায় কোনো অবস্থাতেই সমবেত হওয়া এবং যানবাহন ও মানুষের চলাচলে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। নিরাপত্তার জন্য সমাবেশে আগতদের চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে এবং নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে। ২. দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সামাজিক-ধর্মীয় মূল্যবোধ, রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কার্যকলাপ এবং উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান ও প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না। ৩. সমাবেশে আসা-যাওয়ার পথে শোভাযাত্রা ও মিছিল করাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরূপ কর্মকাণ্ড করা যাবে না। ব্যানার-ফেস্টুন ও পতাকায় কোনো লাঠিসোঁটা ও রড ব্যবহার করা যাবে না। ব্যানার-ফেস্টুনের ব্যবহার সীমিত করতে হবে। ৪. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক-শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না। ৫. মঞ্চ তৈরির সঙ্গে যারা জড়িত (আইডি কার্ডসহ) তারা ব্যতীত অন্য কেউ আগামী ৩ ডিসেম্বরের আগে সমাবেশস্থলে প্রবেশ কিংবা অবস্থান করতে পারবে না। সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম দুপুর ২টা থেকে ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। সমাগত নেতা-কর্মীরা যাতে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে দায়িত্বশীল নেতা বা আয়োজকদের সেই দায়িত্ব নিতে হবে। ৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের অভ্যন্তরে ও বাইরে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। সমাবেশস্থলের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেক্টর-মাইক-সাউন্ড বক্স ব্যবহার করা যাবে না। সমাবেশস্থলে ইন্টারনেট সংযোগ ব্রডব্যান্ড সংযোগ ও রাউটার ব্যবহার করা যাবে না। ৭. যানবাহনগুলো শহরের ভেতরে প্রবেশ করানো যাবে না। রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশের কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থাকতে হবে। পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে। মূল সড়কে কোনো পার্কিং করা যাবে না। ৮. অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়। স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে। জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

৮ শর্তে রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে সমাবেশের অনুমতি পেল বিএনপি

আপলোড সময় : ১১:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

আট শর্তে রাজশাহীর হাজী মুহম্মদ মুহসীন উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে বিএনপিকে বিভাগীয় গণসমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক এই মাদরাসা মাঠে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) এ-সংক্রান্ত একটি অনুমতিপত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর কাছে পাঠানো হয়েছে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, ১ ডিসেম্বর থেকে গণসমাবেশের জন্য মাদরাসা মাঠ ব্যবহার করতে পারব। এর আগে, ওই মাঠ বা আশপাশের এলাকায় কোনো কার্যক্রম চালাতে পারব না।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে এখনও পরীক্ষা চলছে। তাই পরীক্ষা শেষ হলে ১ ডিসেম্বর থেকে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বিএনপি শুধু ৩ ডিসেম্বর মাঠ ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে।

অনুমতিপত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে আটটি শর্ত তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হলো ১. মাদরাসা ময়দান চত্বরের মধ্যে সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। সমাবেশস্থলের আশপাশসহ রাস্তায় কোনো অবস্থাতেই সমবেত হওয়া এবং যানবাহন ও মানুষের চলাচলে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। নিরাপত্তার জন্য সমাবেশে আগতদের চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে এবং নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে। ২. দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সামাজিক-ধর্মীয় মূল্যবোধ, রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কার্যকলাপ এবং উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান ও প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না। ৩. সমাবেশে আসা-যাওয়ার পথে শোভাযাত্রা ও মিছিল করাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরূপ কর্মকাণ্ড করা যাবে না। ব্যানার-ফেস্টুন ও পতাকায় কোনো লাঠিসোঁটা ও রড ব্যবহার করা যাবে না। ব্যানার-ফেস্টুনের ব্যবহার সীমিত করতে হবে। ৪. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক-শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না। ৫. মঞ্চ তৈরির সঙ্গে যারা জড়িত (আইডি কার্ডসহ) তারা ব্যতীত অন্য কেউ আগামী ৩ ডিসেম্বরের আগে সমাবেশস্থলে প্রবেশ কিংবা অবস্থান করতে পারবে না। সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম দুপুর ২টা থেকে ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। সমাগত নেতা-কর্মীরা যাতে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে দায়িত্বশীল নেতা বা আয়োজকদের সেই দায়িত্ব নিতে হবে। ৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের অভ্যন্তরে ও বাইরে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। সমাবেশস্থলের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেক্টর-মাইক-সাউন্ড বক্স ব্যবহার করা যাবে না। সমাবেশস্থলে ইন্টারনেট সংযোগ ব্রডব্যান্ড সংযোগ ও রাউটার ব্যবহার করা যাবে না। ৭. যানবাহনগুলো শহরের ভেতরে প্রবেশ করানো যাবে না। রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশের কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থাকতে হবে। পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে। মূল সড়কে কোনো পার্কিং করা যাবে না। ৮. অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়। স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে। জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।