ঢাকা , শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা জানালেন মামুনুল হকের মুক্তি নিয়ে

সংগৃহীত

হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মুখ খুলেছেন। এর আগে তিনি মামুনুল হকের সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

সোমবার (১২ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের একটি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেফাজতের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব। তিনি বলেন, নিঃশর্তভাবে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তিসহ বৈঠকে হেফাজতের নেতারা জোরালোভাবে দুটি দাবি উত্থাপন করেছেন। ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারেরও দাবি করা হয়।

 

হেফাজত নেতাদের দাবির প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রমজানের মধ্যেই মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়তার সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছেন এবং হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহারের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

 

এ সময় নেতারা বলেন, ঈদুল ফিতরের আগে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে শীর্ষ নেতাদের পরামর্শক্রমে হেফাজত কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হব।

 

বৈঠকে হেফাজত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মুফতি জসীমুদ্দীন, মাও. মাহফুজুল হক, মাও. আব্দুল আওয়াল, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাও. বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাও. জুনায়েদ আল হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা বশীরুল্লাহসহ অনেকে।

 

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে মামুনুল হক ও তার কথিত স্ত্রীকে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। পরে খবর পয়ে পুলিশ গিয়ে ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা জানালেন মামুনুল হকের মুক্তি নিয়ে

আপলোড সময় : ০৯:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মুখ খুলেছেন। এর আগে তিনি মামুনুল হকের সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

সোমবার (১২ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের একটি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেফাজতের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব। তিনি বলেন, নিঃশর্তভাবে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তিসহ বৈঠকে হেফাজতের নেতারা জোরালোভাবে দুটি দাবি উত্থাপন করেছেন। ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারেরও দাবি করা হয়।

 

হেফাজত নেতাদের দাবির প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রমজানের মধ্যেই মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়তার সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছেন এবং হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহারের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

 

এ সময় নেতারা বলেন, ঈদুল ফিতরের আগে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে শীর্ষ নেতাদের পরামর্শক্রমে হেফাজত কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হব।

 

বৈঠকে হেফাজত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মুফতি জসীমুদ্দীন, মাও. মাহফুজুল হক, মাও. আব্দুল আওয়াল, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাও. বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাও. জুনায়েদ আল হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা বশীরুল্লাহসহ অনেকে।

 

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে মামুনুল হক ও তার কথিত স্ত্রীকে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। পরে খবর পয়ে পুলিশ গিয়ে ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।