ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

সেতু আছে খাল নেই

  • বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপলোড সময় : ০৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১৮৪ বার দেখা হয়েছে।

এভাবেই একের পর এক ভরাট হয়ে যাচ্ছে খাল

চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সড়ক পথে সেতু-কালভার্ট আছে কিন্তু খাল নেই। একের পর এক খাল ভরাট হওয়ায় সেতু-কালভার্টগুলো দৃশ্যমান থাকলেও খালগুলো অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। ফলে সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশে পানি যাতায়াত করতে পারছে না। লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুগুলো নির্মিত হলেও সেগুলো কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাবনা-বাঘাবাড়ি সড়কের চাটমোহর অংশ, চাটমোহর-ছাইকোলা সড়কসহ বিভিন্ন সড়কের দু’পাশে বেশকিছু খাল রয়েছে।

যাতায়াতের সুবিধার কারণে, সড়ক যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সরকার বিভিন্ন সময়ে খালগুলোর ওপর সেতু-কালভার্ট নির্মাণ করেন। কিন্তু সেতুর বা কালভার্টের দুই পাশের জমির মালিকরা তাদের জমি ভরাট করায় সেতু-কালভার্ট দাঁড়িয়ে থাকলেও খালগুলো অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে। চাটমোহর-ছাইকোলা সড়কের খালগুলোর অনেকাংশ দখল করে ভরাট করেছেন স্থানীয়রা। এতে পানির স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

পাবনা-বাঘাবাড়ি সড়কের চাটমোহর অংশে উথুলী, হারানমোড় এলাকাসহ বেশকিছু স্থানে সেতুর দু’পাশের জমির মালিকরা তাদের জমি ভরাট করে ফেলায় সেতু তার স্বাভাবিক কার্যকারিতা হারিয়েছে। চাটমোহর হাসপাতাল গেট থেকে ছাইকোলা অভিমুখী সড়কের ধানকুনিয়া, কাটেঙ্গা ও ছাইকোলা এলাকায় গত কয়েকবছরে বেশ কয়েকটি কালভার্ট নির্মিত হয়েছে। এই সড়কের দু’পাশে কয়েকটি বিল রয়েছে। নদীর সঙ্গে বিলের সংযোগ খালগুলো দিয়ে বিলে বর্ষার পানি প্রবেশ করত এবং বর্ষা শেষে পানি বেরিয়ে যেত।

 

ইতোমধ্যে বিভিন্ন সময়ে মাটি ফেলে প্রায় সবগুলো খাল ভরাট করা হয়েছে।
এদিকে, নাটোরের জোনাইলের সোন্দভা এলাকা থেকে বড়াল নদীর একটি খাল কাটাখালী-বাঙ্গাল্লা হয়ে চিকনাই নদীতে পড়েছে। এ খালের প্রায় পুরোটাই বিভিন্ন পন্থায় অসাধুরা দখল করে ভরাট করে ফেলেছে। কাটাখালী বাজারের পূর্ব অংশে এ খালের ওপর একটি সেতু নির্মিত হয়েছিল অনেক পূর্বে। সেতুটি এখনো দাঁড়িয়ে থাকলেও দু’পাশ ভরাট করায় অস্তিত্বহীন হয়ে পরেছে খালটি।

চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব এস. এম মিজানুর রহমান জানান, অননুমোদিত খাল ভরাটের অধিকার কারও নেই। এগুলো দেখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। প্রশাসন অনেক সময়ই দেখে না। সড়ক ও জনপথ পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, আমরা সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে কাজ করি। অনেক সময়ই বিভিন্ন অনৈতিক পন্থায় কেউ কেউ কালভার্ট বা সেতুর সম্মুখ ভাগ ভরাট করেন। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সেতু আছে খাল নেই

আপলোড সময় : ০৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সড়ক পথে সেতু-কালভার্ট আছে কিন্তু খাল নেই। একের পর এক খাল ভরাট হওয়ায় সেতু-কালভার্টগুলো দৃশ্যমান থাকলেও খালগুলো অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। ফলে সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশে পানি যাতায়াত করতে পারছে না। লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুগুলো নির্মিত হলেও সেগুলো কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাবনা-বাঘাবাড়ি সড়কের চাটমোহর অংশ, চাটমোহর-ছাইকোলা সড়কসহ বিভিন্ন সড়কের দু’পাশে বেশকিছু খাল রয়েছে।

যাতায়াতের সুবিধার কারণে, সড়ক যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সরকার বিভিন্ন সময়ে খালগুলোর ওপর সেতু-কালভার্ট নির্মাণ করেন। কিন্তু সেতুর বা কালভার্টের দুই পাশের জমির মালিকরা তাদের জমি ভরাট করায় সেতু-কালভার্ট দাঁড়িয়ে থাকলেও খালগুলো অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে। চাটমোহর-ছাইকোলা সড়কের খালগুলোর অনেকাংশ দখল করে ভরাট করেছেন স্থানীয়রা। এতে পানির স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

পাবনা-বাঘাবাড়ি সড়কের চাটমোহর অংশে উথুলী, হারানমোড় এলাকাসহ বেশকিছু স্থানে সেতুর দু’পাশের জমির মালিকরা তাদের জমি ভরাট করে ফেলায় সেতু তার স্বাভাবিক কার্যকারিতা হারিয়েছে। চাটমোহর হাসপাতাল গেট থেকে ছাইকোলা অভিমুখী সড়কের ধানকুনিয়া, কাটেঙ্গা ও ছাইকোলা এলাকায় গত কয়েকবছরে বেশ কয়েকটি কালভার্ট নির্মিত হয়েছে। এই সড়কের দু’পাশে কয়েকটি বিল রয়েছে। নদীর সঙ্গে বিলের সংযোগ খালগুলো দিয়ে বিলে বর্ষার পানি প্রবেশ করত এবং বর্ষা শেষে পানি বেরিয়ে যেত।

 

ইতোমধ্যে বিভিন্ন সময়ে মাটি ফেলে প্রায় সবগুলো খাল ভরাট করা হয়েছে।
এদিকে, নাটোরের জোনাইলের সোন্দভা এলাকা থেকে বড়াল নদীর একটি খাল কাটাখালী-বাঙ্গাল্লা হয়ে চিকনাই নদীতে পড়েছে। এ খালের প্রায় পুরোটাই বিভিন্ন পন্থায় অসাধুরা দখল করে ভরাট করে ফেলেছে। কাটাখালী বাজারের পূর্ব অংশে এ খালের ওপর একটি সেতু নির্মিত হয়েছিল অনেক পূর্বে। সেতুটি এখনো দাঁড়িয়ে থাকলেও দু’পাশ ভরাট করায় অস্তিত্বহীন হয়ে পরেছে খালটি।

চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব এস. এম মিজানুর রহমান জানান, অননুমোদিত খাল ভরাটের অধিকার কারও নেই। এগুলো দেখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। প্রশাসন অনেক সময়ই দেখে না। সড়ক ও জনপথ পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, আমরা সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে কাজ করি। অনেক সময়ই বিভিন্ন অনৈতিক পন্থায় কেউ কেউ কালভার্ট বা সেতুর সম্মুখ ভাগ ভরাট করেন। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।