ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে

ছবি সংগৃহীত

পাবনার জেলার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ভাদড়া মাঠে শোভা পাচ্ছে সূর্যমুখী। বিশাল এলাকাজুড়ে চাষ করা হয়েছে এই ফুল। কৃষকদের পরম যত্নে বেড়ে উঠেছে সূর্যমুখী ফুলের প্রতিটি গাছ। এই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী ফুল চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলনও বেশ ভালো হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।

ফাল্গুনের প্রখর রোদে বাতাসে মাঝে মাঝে দোল খাচ্ছে মনকাড়া সূর্যমুখী ফুলগুলো। ক্ষণে ক্ষণে পাখি আর কীটপতঙ্গের দল ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে। এ যেন অপরূপ এক দৃশ্য, যেটি আকৃষ্ট করছে সূর্যমুখী ফুল বাগানের পাশ দিয়ে হেঁটে চলা পথচারীদের। চলতি বছর উপজেলায় তেলবীজ কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ ও সার দিয়ে এই ফুলের চাষ করা হয়েছে।

চাটমোহর উপজেলার ডিবিগ্রাম এলাকার ভাদড়া গ্রামের কৃষক শফিকুল জানান, অন্যান্য ফসল আবাদের চেয়ে এই ফুল চাষে জমিতে সেচ ও সারের খরচ কম লাগে এবং রোগ বালাই কম। চলতি বছর আমি ২ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ করে মাত্র একশ দিনেই প্রায় ৩০০ কেজি বীজ পাওয়ার আশা করছেন তিনি। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা। এছাড়াও ফুল গাছের ডাটা থেকে জ্বালানি (খড়ি) পাওয়া যায়। শফিকুলের সূর্যমুখীর চাষ দেখে অন্য কৃষকেরাও এই ফুল চাষে আগ্রহের কথা জানান।
সুফল পাওয়া একই এলাকার কৃষক চানু মিয়া জানান, সেও এবার ১ বিঘা সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। কৃষি প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে সূর্যমুখী ফুলের বীজ ও সার পেয়ে খশি সে। সে আরো বলেন, স্বল্প ব্যয়ে অধিক ফলন পাওয়ার আশা করছি এবং অনেক লাভজনক তাই আমরা আগামীতেও এই ফুলের চাষ করব।

উপজেলা উপসহকারি কৃষি অফিসার সাঈদুর রহমান সাঈদ জানান, সূর্যমুখী ফুল চাষে রোগ বালাই কম। ফলন ভালো হওয়ায় স্বল্প খরছে অধিক লাভ। এছাড়াও এই ফুল থেকে উৎকৃষ্ট মানের তেল বীজ পাওয়া যায়। সূর্যমুখীর বীজ থেকে উৎপাদিত তেল স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। সেই সাথে এই তেল বিভিন্ন অসুখেরও প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে বলে জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এ. মাসুম বিল্লাহ জানান, সূর্যমুখী ফুলের চাষ বাড়াতে কৃষকদেরকে বীজ ও সার সহায়তার পাশাপাশি কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ফলন বৃদ্ধি পেতে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে তেল বীজ কৃষি প্রণোদনার আওতায় উপজেলার ডিবিগ্রাম, মথুরাপুর ও মুলগ্রাম এলাকায় ২ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর ১ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে। আগামীতে আরো বৃদ্ধি হবে আশা করছি।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে

আপলোড সময় : ১০:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

পাবনার জেলার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ভাদড়া মাঠে শোভা পাচ্ছে সূর্যমুখী। বিশাল এলাকাজুড়ে চাষ করা হয়েছে এই ফুল। কৃষকদের পরম যত্নে বেড়ে উঠেছে সূর্যমুখী ফুলের প্রতিটি গাছ। এই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী ফুল চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলনও বেশ ভালো হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।

ফাল্গুনের প্রখর রোদে বাতাসে মাঝে মাঝে দোল খাচ্ছে মনকাড়া সূর্যমুখী ফুলগুলো। ক্ষণে ক্ষণে পাখি আর কীটপতঙ্গের দল ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে। এ যেন অপরূপ এক দৃশ্য, যেটি আকৃষ্ট করছে সূর্যমুখী ফুল বাগানের পাশ দিয়ে হেঁটে চলা পথচারীদের। চলতি বছর উপজেলায় তেলবীজ কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ ও সার দিয়ে এই ফুলের চাষ করা হয়েছে।

চাটমোহর উপজেলার ডিবিগ্রাম এলাকার ভাদড়া গ্রামের কৃষক শফিকুল জানান, অন্যান্য ফসল আবাদের চেয়ে এই ফুল চাষে জমিতে সেচ ও সারের খরচ কম লাগে এবং রোগ বালাই কম। চলতি বছর আমি ২ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ করে মাত্র একশ দিনেই প্রায় ৩০০ কেজি বীজ পাওয়ার আশা করছেন তিনি। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা। এছাড়াও ফুল গাছের ডাটা থেকে জ্বালানি (খড়ি) পাওয়া যায়। শফিকুলের সূর্যমুখীর চাষ দেখে অন্য কৃষকেরাও এই ফুল চাষে আগ্রহের কথা জানান।
সুফল পাওয়া একই এলাকার কৃষক চানু মিয়া জানান, সেও এবার ১ বিঘা সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। কৃষি প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে সূর্যমুখী ফুলের বীজ ও সার পেয়ে খশি সে। সে আরো বলেন, স্বল্প ব্যয়ে অধিক ফলন পাওয়ার আশা করছি এবং অনেক লাভজনক তাই আমরা আগামীতেও এই ফুলের চাষ করব।

উপজেলা উপসহকারি কৃষি অফিসার সাঈদুর রহমান সাঈদ জানান, সূর্যমুখী ফুল চাষে রোগ বালাই কম। ফলন ভালো হওয়ায় স্বল্প খরছে অধিক লাভ। এছাড়াও এই ফুল থেকে উৎকৃষ্ট মানের তেল বীজ পাওয়া যায়। সূর্যমুখীর বীজ থেকে উৎপাদিত তেল স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। সেই সাথে এই তেল বিভিন্ন অসুখেরও প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে বলে জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এ. মাসুম বিল্লাহ জানান, সূর্যমুখী ফুলের চাষ বাড়াতে কৃষকদেরকে বীজ ও সার সহায়তার পাশাপাশি কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ফলন বৃদ্ধি পেতে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে তেল বীজ কৃষি প্রণোদনার আওতায় উপজেলার ডিবিগ্রাম, মথুরাপুর ও মুলগ্রাম এলাকায় ২ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর ১ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে। আগামীতে আরো বৃদ্ধি হবে আশা করছি।