ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

সুজানগরে পেঁয়াজের বাজারে দফায় দফায় ধস

উত্তরাঞ্চলের মধ্যে পেঁয়াজ ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত পাবনার সুজানগরের হাটবাজারে ব্যাপকভাবে আগাম আবাদ করা (মূলকাটা) পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। তবে মূলকাটা এ পেঁয়াজের বাজারে দফায় দফায় ধস নামায় পেঁয়াজ চাষীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে গত ১০/১৫দিনের ব্যবধানে উপজেলার হাটবাজারে দুই দফা মূলকাটা পেঁয়াজের বাজারে ধস নামায় চাষীদের উৎপাদন খরচের চেয়ে প্রতিমণ পেঁয়াজে ১৩‘শ থেকে ২হাজার টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে।

 

উপজেলার চরসুজানগর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী মোঃ হযরত আলী প্রামাণিক বলেন গত ১০/১২দিন আগেও উপজেলার হাটবাজারে প্রতিমণ মূলকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২হাজার থেকে ২হাজার ৫‘শ টাকা দরে। কিন্তু মাত্র ১০/১২দিনের ব্যবধানে মূলকাটা পেঁয়াজের বাজারে দুই দফা ধস নামায় বর্তমানে উপজেলার অধিকাংশ হাটবাজারে প্রতিমণ মূলকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১১‘শ থেকে ১২‘শ টাকা দরে।

 

উপজেলার মানিকহাট গ্রামের কৃষক মোমিন খান বলেন এ বছর ১বিঘা জমিতে মূলকাটা পেঁয়াজ আবাদ করতে সার, বীজ ও শ্রমিকসহ উৎপাদন খরচ হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। আর প্রতিমণ পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ হয়েছে ২হাজার ৫‘শ থেকে ৩হাজার টাকা। অথচ বর্তমানে উপজেলার হাটবাজারে প্রতিমণ মূলকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১১‘শ থেকে ১২‘শ টাকা দরে।

 

এ হিসাবে উৎপাদন খরচের চেয়ে কৃষকের প্রতিমণ পেঁয়াজে ১৩‘শ থেকে ২হাজার টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে। ফলে এমতাবস্থায় উপজেলার কৃষকেরা মূলকাটা পেঁয়াজ আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন হাটবাজারে চাহিদার তুলনায় দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি। পাশাপাশি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি রয়েছে। সেকারণে মূলকাটা পেঁয়াজের বাজার মন্দা।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সুজানগরে পেঁয়াজের বাজারে দফায় দফায় ধস

আপলোড সময় : ১১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

উত্তরাঞ্চলের মধ্যে পেঁয়াজ ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত পাবনার সুজানগরের হাটবাজারে ব্যাপকভাবে আগাম আবাদ করা (মূলকাটা) পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। তবে মূলকাটা এ পেঁয়াজের বাজারে দফায় দফায় ধস নামায় পেঁয়াজ চাষীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে গত ১০/১৫দিনের ব্যবধানে উপজেলার হাটবাজারে দুই দফা মূলকাটা পেঁয়াজের বাজারে ধস নামায় চাষীদের উৎপাদন খরচের চেয়ে প্রতিমণ পেঁয়াজে ১৩‘শ থেকে ২হাজার টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে।

 

উপজেলার চরসুজানগর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী মোঃ হযরত আলী প্রামাণিক বলেন গত ১০/১২দিন আগেও উপজেলার হাটবাজারে প্রতিমণ মূলকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২হাজার থেকে ২হাজার ৫‘শ টাকা দরে। কিন্তু মাত্র ১০/১২দিনের ব্যবধানে মূলকাটা পেঁয়াজের বাজারে দুই দফা ধস নামায় বর্তমানে উপজেলার অধিকাংশ হাটবাজারে প্রতিমণ মূলকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১১‘শ থেকে ১২‘শ টাকা দরে।

 

উপজেলার মানিকহাট গ্রামের কৃষক মোমিন খান বলেন এ বছর ১বিঘা জমিতে মূলকাটা পেঁয়াজ আবাদ করতে সার, বীজ ও শ্রমিকসহ উৎপাদন খরচ হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। আর প্রতিমণ পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ হয়েছে ২হাজার ৫‘শ থেকে ৩হাজার টাকা। অথচ বর্তমানে উপজেলার হাটবাজারে প্রতিমণ মূলকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১১‘শ থেকে ১২‘শ টাকা দরে।

 

এ হিসাবে উৎপাদন খরচের চেয়ে কৃষকের প্রতিমণ পেঁয়াজে ১৩‘শ থেকে ২হাজার টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে। ফলে এমতাবস্থায় উপজেলার কৃষকেরা মূলকাটা পেঁয়াজ আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন হাটবাজারে চাহিদার তুলনায় দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি। পাশাপাশি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি রয়েছে। সেকারণে মূলকাটা পেঁয়াজের বাজার মন্দা।