ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। সবাইকে হান্ডিয়াল নিউজ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

সুজানগরে টমেটো চাষ করে সফল কৃষক

প্রবাসী জীবন শেষে বাড়িতে এসে গতানুগতিক চাষাবাদ থেকে বেরিয়ে আধুনীক পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল মিরাক্কেল এবং সুলতান সুলাইমান জাতের টমেটো চাষ করে সফল হয়েছেন পাবনার সুজানগরের সাগরকান্দী গ্রামের কৃষক আনসার আলী। তার এই সফলতা থেকে আশপাশের অনেক কৃষক ওই টমেটো চাষে ঝুঁকছেন।

 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাগরকান্দী ইউনিয়নে রয়েছে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল। ওই সব চরাঞ্চলের জমিতে ধানপাট তেমন ভাল হয়না। সেকারণে এলাকার অনেক কৃষক চরাঞ্চলের ওই জমিতে শীতকালীন টমেটো চাষ করেন। বেশিরভাগ কৃষক তাদের জমিতে গতানুগতিক পদ্ধতিতে  মিন্টু সুপার এবং হিরো সুপারসহ বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড টমেটো চাষ করে থাকেন। কিন্তু এ বছর উক্ত আনসার আলী উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শক্রমে আধুনীক চাষাবাদের নিয়মনীতি মেনে তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী খলিলপুর মৌজায় ৪বিঘা জমিতে চাষ করেছেন সুস্বাদু উচ্চ ফলনশীল মিরাক্কেল এবং সুলতান সুলাইমান জাতের টমেটো। অনুকূল আবহাওয়া আর সঠিক সময় সার-বিষ দেওয়ায় নতুন এই জাতের টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে।

 

কৃষক আনসার আলী বলেন আমি গত ২০/২২ ধরে চরাঞ্চলের জমিতে টমেটো চাষ করি। ইতিপূর্বে মিন্টু সুপার এবং হিরো সুপার জাতের টমেটো চাষ করেছি। কিন্তু তাতে খুব বেশি সফলতা পাইনি। তবে এ বছর আধুনীক পদ্ধতিতে মিরাক্কেল এবং সুলতান সুলাইমান জাতের টমেটো চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। তিনি বলেন প্রতি বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করতে সার, বীজ, মাচান, পলিথিন এবং শ্রমিকসহ উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘা জমিতে টমেটো উৎপাদন হয়েছেন ২৫০  থেকে ২৬০মণ।

 

বর্তমানে হাটবাজারে মিরাক্কেল এবং সুলতান সুলাইমান জাতের টমেটোর বাজারও বেশ ভাল। প্রতিমণ টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১হাজার থেকে ১২‘শ টাকা মণ। ফলে উৎপাদন খরচের চেয়ে লাভ হচ্ছে অনেক বেশি লাভ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন মিরাক্কেল এবং সুলতান সুলাইমান জাতের টমেটোর ফলন বেশি হয়। তাছাড়া বাজারে ওই টমেটোর চাহিদাও বেশী। সেকারণে অনেক কৃষক মিরাক্কেল এবং সুলতান সুলাইমান জাতের টমেটো চাষে ঝুঁকছেন।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সুজানগরে টমেটো চাষ করে সফল কৃষক

আপলোড সময় : ১০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

প্রবাসী জীবন শেষে বাড়িতে এসে গতানুগতিক চাষাবাদ থেকে বেরিয়ে আধুনীক পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল মিরাক্কেল এবং সুলতান সুলাইমান জাতের টমেটো চাষ করে সফল হয়েছেন পাবনার সুজানগরের সাগরকান্দী গ্রামের কৃষক আনসার আলী। তার এই সফলতা থেকে আশপাশের অনেক কৃষক ওই টমেটো চাষে ঝুঁকছেন।

 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাগরকান্দী ইউনিয়নে রয়েছে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল। ওই সব চরাঞ্চলের জমিতে ধানপাট তেমন ভাল হয়না। সেকারণে এলাকার অনেক কৃষক চরাঞ্চলের ওই জমিতে শীতকালীন টমেটো চাষ করেন। বেশিরভাগ কৃষক তাদের জমিতে গতানুগতিক পদ্ধতিতে  মিন্টু সুপার এবং হিরো সুপারসহ বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড টমেটো চাষ করে থাকেন। কিন্তু এ বছর উক্ত আনসার আলী উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শক্রমে আধুনীক চাষাবাদের নিয়মনীতি মেনে তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী খলিলপুর মৌজায় ৪বিঘা জমিতে চাষ করেছেন সুস্বাদু উচ্চ ফলনশীল মিরাক্কেল এবং সুলতান সুলাইমান জাতের টমেটো। অনুকূল আবহাওয়া আর সঠিক সময় সার-বিষ দেওয়ায় নতুন এই জাতের টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে।

 

কৃষক আনসার আলী বলেন আমি গত ২০/২২ ধরে চরাঞ্চলের জমিতে টমেটো চাষ করি। ইতিপূর্বে মিন্টু সুপার এবং হিরো সুপার জাতের টমেটো চাষ করেছি। কিন্তু তাতে খুব বেশি সফলতা পাইনি। তবে এ বছর আধুনীক পদ্ধতিতে মিরাক্কেল এবং সুলতান সুলাইমান জাতের টমেটো চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। তিনি বলেন প্রতি বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করতে সার, বীজ, মাচান, পলিথিন এবং শ্রমিকসহ উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘা জমিতে টমেটো উৎপাদন হয়েছেন ২৫০  থেকে ২৬০মণ।

 

বর্তমানে হাটবাজারে মিরাক্কেল এবং সুলতান সুলাইমান জাতের টমেটোর বাজারও বেশ ভাল। প্রতিমণ টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১হাজার থেকে ১২‘শ টাকা মণ। ফলে উৎপাদন খরচের চেয়ে লাভ হচ্ছে অনেক বেশি লাভ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন মিরাক্কেল এবং সুলতান সুলাইমান জাতের টমেটোর ফলন বেশি হয়। তাছাড়া বাজারে ওই টমেটোর চাহিদাও বেশী। সেকারণে অনেক কৃষক মিরাক্কেল এবং সুলতান সুলাইমান জাতের টমেটো চাষে ঝুঁকছেন।