ঢাকা , বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

সম্পদ-সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকারের প্রস্তাব

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়েছে। এতে সম্পদ ও সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকারের সুপারিশ করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্বে কমিশনের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার হাতে প্রতিবেদন তুলে দেয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এসব তথ্য জানিয়েছে।

সংস্কার কমিশন ১৫টি বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে সম্পদ-সম্পত্তি, সন্তানের অভিভাবকত্ব, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারীকে সমান অধিকার দেওয়ার দেওয়ার সুপারিশ রয়েছে।

এ ছাড়া জাতীয় সংসদে ৬০০ আসন রেখে সেখান থেকে ৩০০ আসন নারীর জন্য সংরক্ষিত করা, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ বিধানের মাধ্যমে অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের নিচে) মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার সুযোগ বন্ধ, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করার সুপারিশও প্রতিবেদনে রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিটি পর্যায়ের কমিটিতে নারীর প্রতিনিধিত্ব ন্যূনতম ৪০ শতাংশ করার সুপারিশও প্রতিবেদনে রয়েছে বলে জানা গেছে।

সম্পদ-সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকারের প্রস্তাব

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যে সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য, সেসব যেন আমাদের মাধ্যমে হয়ে যায়। আমরা যেন এই কাজের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি। পৃথিবীর মেয়েরা এটার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তারা এটা নিয়ে পর্যালোচনা করবে। অনুপ্রাণিত হবে। অন্য দেশের নারীরাও এটা নিয়ে আগ্রহী।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের এই প্রস্তাবগুলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক বলেন, ‘জুলাইয়ে যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের স্মরণার্থে এমন কিছু করতে চেয়েছি, যা মানুষের জন্য কল্যাণকর হবে, সমাজের জন্য কল্যাণকর হবে।

সুপারিশগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে জানিয়ে শিরীন পারভিন বলেন, ‘কিছু এ সরকারই করে যেতে পারবে, কিছু পরের নির্বাচিত সরকার করতে পারবে। প্রতিবেদনে নারী আন্দোলনের আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো আলাদা করে তুলে ধরা হয়েছে।’

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত মোট ১১টি সংস্কার কমিশনের একটি হচ্ছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে গত ১৮ নভেম্বর এই কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি হয়।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সম্পদ-সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকারের প্রস্তাব

আপলোড সময় : ১০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়েছে। এতে সম্পদ ও সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকারের সুপারিশ করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্বে কমিশনের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার হাতে প্রতিবেদন তুলে দেয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এসব তথ্য জানিয়েছে।

সংস্কার কমিশন ১৫টি বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে সম্পদ-সম্পত্তি, সন্তানের অভিভাবকত্ব, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারীকে সমান অধিকার দেওয়ার দেওয়ার সুপারিশ রয়েছে।

এ ছাড়া জাতীয় সংসদে ৬০০ আসন রেখে সেখান থেকে ৩০০ আসন নারীর জন্য সংরক্ষিত করা, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ বিধানের মাধ্যমে অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের নিচে) মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার সুযোগ বন্ধ, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করার সুপারিশও প্রতিবেদনে রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিটি পর্যায়ের কমিটিতে নারীর প্রতিনিধিত্ব ন্যূনতম ৪০ শতাংশ করার সুপারিশও প্রতিবেদনে রয়েছে বলে জানা গেছে।

সম্পদ-সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকারের প্রস্তাব

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যে সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য, সেসব যেন আমাদের মাধ্যমে হয়ে যায়। আমরা যেন এই কাজের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি। পৃথিবীর মেয়েরা এটার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তারা এটা নিয়ে পর্যালোচনা করবে। অনুপ্রাণিত হবে। অন্য দেশের নারীরাও এটা নিয়ে আগ্রহী।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের এই প্রস্তাবগুলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক বলেন, ‘জুলাইয়ে যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের স্মরণার্থে এমন কিছু করতে চেয়েছি, যা মানুষের জন্য কল্যাণকর হবে, সমাজের জন্য কল্যাণকর হবে।

সুপারিশগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে জানিয়ে শিরীন পারভিন বলেন, ‘কিছু এ সরকারই করে যেতে পারবে, কিছু পরের নির্বাচিত সরকার করতে পারবে। প্রতিবেদনে নারী আন্দোলনের আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো আলাদা করে তুলে ধরা হয়েছে।’

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত মোট ১১টি সংস্কার কমিশনের একটি হচ্ছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে গত ১৮ নভেম্বর এই কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি হয়।