ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। সবাইকে হান্ডিয়াল নিউজ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

লালমনিরহাটে বাজার স্থিতিশীল, ক্রেতারা স্বস্তিতে

জেলায় পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকায় ক্রেতারা স্বস্তিতে দ্রব্যমূল্য ক্রয় করছেন। অন্যান্য সময়ে পবিত্র রমজান মাসে সাধারণত নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতাদেখা গেলে ওএ রমজানে ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে।

সরকারের বিভিন্ন সংস্থার বাজার তদারকি এবং বিভিন্ন পদক্ষেপের কারনে চিনি, ডাল, খেজুর, পেঁয়াজ, শসা, আলু, টমেটো, ডিম, রসুন, কাঁচা মরিচ, শুকনো মরিচ, আদাসহ বেশিরভাগ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেকটাই সাশ্রয়ীমূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।

আজ বুধবার জেলা সদরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে , রোজার নিত্যপণ্য হিসেবে পরিচিত ছোলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০টাকা, খেজুর মানভেদে ১৫০ থেকে ৫৫০টাকা, লেবু হালি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫টাকা। মসুর ডাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, খেসারির ডাল ১১০ থেকে ১২০, শুকনা বুন্দিয়া কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৮০থেকে ২০০ টাকা, ফ্রেশ সয়াবিন তেল এক লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭৫টাকা, রূপচাঁদা সয়াবিন তেল ১৭৫, চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১৮থেকে ১২০টাকা, মুড়ি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬৫থেকে ৭০টাকা, চিড়া কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০টাকা। সেই সাথে স্থিতিশীল সবজির বাজারও।

আলু মান ও জাতভেদে ১৪ টাকা থেকে ৩০টাকায় কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৫ থেকে ৪০ টাকা, রসুন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৬০টাকা, আদা ১০০ থেকে ১২০টাকা, শুকনা মরিচ এক পোয়া (২৫০ গ্রাম)৯০ থেকে ১০০, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শিম জাতভেদে ২০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৭০থেকে ৮০ টাকা, পটল ৯০থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ৬টাকা থেকে ১২ টাকা, পেঁপে১৫ থেকে ২০ টাকা, ফুলকপি ১০থেকে ১২টাকা, পাতাকপি ৫ থেকে ১০ টাকা, গাজর ১০ থেকে ১৫টাকা, শশা ১৫থেকে ১৮ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০থেকে ২৫টাকা, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ১৫থেকে ২৫টাকা।বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দামও সহনশীল রয়েছে। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮থেকে ৪০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি আস্ত

প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০থেকে ১৮০ টাকায়। সোনালি মুরগি আস্ত কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা। খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

এছাড়া বাজারগুলোতে এক কেজি শিং মাছ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ৫০০ টাকায় পর্যন্ত, প্রতি কেজি রুই মাছ ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ১৪০ থেকে ২৬০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, বড় কাতল ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ২৪০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।সবজির বাজারে এসে বড়বাড়ী এলাকার শামীম ইসলাম বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার তদারকি এবং বিভিন্ন পদক্ষেপের কারনে মেনেহচ্ছে এবার রমজানে মোটামুটি সবজি ও মুদি পণ্যের দাম অনেকটা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন,গত কয়েক বছরের তুলনায় এ রমজানে সবজির দাম কম থাকায় স্বস্তিতে সবজি কিনতে পেরেছি। শামীম আরো বলেন, মাছ, মাংস ও মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে।কাঁচা বাজারের মুরগি বিক্রেতা লিটন মিয়া বলেন, সরকারের তদারকি কার্যক্রমের কারনে মুরগির দাম আগের বছরের তুলনায় অনেকটাই স্বাভাবিক। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এখানে ক্রয়-বিক্রয় করি। খুব বেশি লাভ করার সুযোগ নেই। সরকার যদি সিন্ডিকেটগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে মুরগির দাম আরও কমার সুযোগ রয়েছে।মহেন্দ্রনগর বাজারের মাছ ব্যবসায়ী সালাম মিয়া বলেন, বাজারে মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক। তবে রমজান আসার সাথে সাথে মাছের চাহিদা বেড়েছে। তবে গত রমজানের চেয়ে মাছের বাজার স্বাভাবিক রয়েছে।লালমিনরহাট শহরের গোশালা বাজারে কথা হয় সবজি আড়ৎদার আইয়ুব আলীর সঙ্গে তিনি বলেন, এ বছর পেঁয়াজ, আলু, টমেটো, কাঁচা মরিচ ও ডিমের দাম অনেকটাই ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত।

লালমনিরহাট সদরের বড়বাড়ী বাজারের সবজি আড়ৎদের ইজারাদার মোসারব আলী  বলেন, আড়তে এখন প্রচুর পরিমানে সবজি উঠছে। ফলন ভালো হওয়ায় সরবরাহ বেড়েছে ব্যাপক, তাই সবজির দাম কমছে তবে সবজির দাম বাড়ার তেমন সম্ভাবনা নেই।উল্লেখ্য যে, শহর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বাজারগুলোতে পাইকারি ও খুচরা দামের সামান্য কিছু দামের পার্থক্য রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

লালমনিরহাটে বাজার স্থিতিশীল, ক্রেতারা স্বস্তিতে

আপলোড সময় : ০৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

জেলায় পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকায় ক্রেতারা স্বস্তিতে দ্রব্যমূল্য ক্রয় করছেন। অন্যান্য সময়ে পবিত্র রমজান মাসে সাধারণত নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতাদেখা গেলে ওএ রমজানে ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে।

সরকারের বিভিন্ন সংস্থার বাজার তদারকি এবং বিভিন্ন পদক্ষেপের কারনে চিনি, ডাল, খেজুর, পেঁয়াজ, শসা, আলু, টমেটো, ডিম, রসুন, কাঁচা মরিচ, শুকনো মরিচ, আদাসহ বেশিরভাগ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেকটাই সাশ্রয়ীমূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।

আজ বুধবার জেলা সদরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে , রোজার নিত্যপণ্য হিসেবে পরিচিত ছোলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০টাকা, খেজুর মানভেদে ১৫০ থেকে ৫৫০টাকা, লেবু হালি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫টাকা। মসুর ডাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, খেসারির ডাল ১১০ থেকে ১২০, শুকনা বুন্দিয়া কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৮০থেকে ২০০ টাকা, ফ্রেশ সয়াবিন তেল এক লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭৫টাকা, রূপচাঁদা সয়াবিন তেল ১৭৫, চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১৮থেকে ১২০টাকা, মুড়ি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬৫থেকে ৭০টাকা, চিড়া কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০টাকা। সেই সাথে স্থিতিশীল সবজির বাজারও।

আলু মান ও জাতভেদে ১৪ টাকা থেকে ৩০টাকায় কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৫ থেকে ৪০ টাকা, রসুন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৬০টাকা, আদা ১০০ থেকে ১২০টাকা, শুকনা মরিচ এক পোয়া (২৫০ গ্রাম)৯০ থেকে ১০০, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শিম জাতভেদে ২০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৭০থেকে ৮০ টাকা, পটল ৯০থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ৬টাকা থেকে ১২ টাকা, পেঁপে১৫ থেকে ২০ টাকা, ফুলকপি ১০থেকে ১২টাকা, পাতাকপি ৫ থেকে ১০ টাকা, গাজর ১০ থেকে ১৫টাকা, শশা ১৫থেকে ১৮ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০থেকে ২৫টাকা, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ১৫থেকে ২৫টাকা।বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দামও সহনশীল রয়েছে। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮থেকে ৪০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি আস্ত

প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০থেকে ১৮০ টাকায়। সোনালি মুরগি আস্ত কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা। খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

এছাড়া বাজারগুলোতে এক কেজি শিং মাছ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ৫০০ টাকায় পর্যন্ত, প্রতি কেজি রুই মাছ ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ১৪০ থেকে ২৬০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, বড় কাতল ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ২৪০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।সবজির বাজারে এসে বড়বাড়ী এলাকার শামীম ইসলাম বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার তদারকি এবং বিভিন্ন পদক্ষেপের কারনে মেনেহচ্ছে এবার রমজানে মোটামুটি সবজি ও মুদি পণ্যের দাম অনেকটা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন,গত কয়েক বছরের তুলনায় এ রমজানে সবজির দাম কম থাকায় স্বস্তিতে সবজি কিনতে পেরেছি। শামীম আরো বলেন, মাছ, মাংস ও মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে।কাঁচা বাজারের মুরগি বিক্রেতা লিটন মিয়া বলেন, সরকারের তদারকি কার্যক্রমের কারনে মুরগির দাম আগের বছরের তুলনায় অনেকটাই স্বাভাবিক। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এখানে ক্রয়-বিক্রয় করি। খুব বেশি লাভ করার সুযোগ নেই। সরকার যদি সিন্ডিকেটগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে মুরগির দাম আরও কমার সুযোগ রয়েছে।মহেন্দ্রনগর বাজারের মাছ ব্যবসায়ী সালাম মিয়া বলেন, বাজারে মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক। তবে রমজান আসার সাথে সাথে মাছের চাহিদা বেড়েছে। তবে গত রমজানের চেয়ে মাছের বাজার স্বাভাবিক রয়েছে।লালমিনরহাট শহরের গোশালা বাজারে কথা হয় সবজি আড়ৎদার আইয়ুব আলীর সঙ্গে তিনি বলেন, এ বছর পেঁয়াজ, আলু, টমেটো, কাঁচা মরিচ ও ডিমের দাম অনেকটাই ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত।

লালমনিরহাট সদরের বড়বাড়ী বাজারের সবজি আড়ৎদের ইজারাদার মোসারব আলী  বলেন, আড়তে এখন প্রচুর পরিমানে সবজি উঠছে। ফলন ভালো হওয়ায় সরবরাহ বেড়েছে ব্যাপক, তাই সবজির দাম কমছে তবে সবজির দাম বাড়ার তেমন সম্ভাবনা নেই।উল্লেখ্য যে, শহর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বাজারগুলোতে পাইকারি ও খুচরা দামের সামান্য কিছু দামের পার্থক্য রয়েছে।