ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র‍্যাবের সঙ্গে গোলাগুলি, প্রেপ্তার ৫

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র‍্যাবের অভিযানে আরসা সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক র‍্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় ৫ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তারসহ অস্ত্র ও গুলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়ার ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোছার খোলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ক্যাম্পটির মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে মো. নেছার (৩০), আব্দুল জব্বারের ছেলে রবি আলম (১৮), শাকের আহমেদের ছেলে মো. আবুল কালাম (২৮), মো. বাশারের ছেলে মো. আয়ুব (২২), বাংলাদেশি নাগরিক আবৃদু রহমানের ছেলে আবুল হোসেন (২০)।

র‍্যাব কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার একদল সদস্য বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ ক্যাম্পে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় র‌্যাবের একটি চৌকস দল অভিযানে যায়।

এ সময় সন্ত্রাসীরা র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তাদের গুলিতে এক র‍্যাব সদস্য আহত হন। পরে র‍্যাব কৌশলে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার ৫ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

আহত র‍্যাব সদস্য বর্তমানে রামু সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সাজ্জাদ হোসেন আরও জানান, ইউনুস মাঝি, মৌলভী ইব্রাহিম ও আরাফাতের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের আরসার একটি গ্রুপ ক্যাম্প-১৫’তে অবস্থান করে। তারা উখিয়া ও হ্নীলার পাহাড়ি এলাকায় স্থানীয় কৃষকসহ নিরীহ লোকদের অপহরণপূর্বক মোটা অংকের টাকা আদায় করে থাকে।

স্থানীয় কৃষক পাহাড়ি এলাকায় কৃষিক্ষেতে কাজ করতে বা বনে কাঠ সংগ্রহ করতে গেলে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সুযোগ বুঝে তাদের অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে গহিন পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে। পরে নির্যাতনের ভিডিও ও ভিকটিমের চিৎকার তার পরিবারের সদস্যদের ফোনের মাধ্যমে শুনিয়ে মুক্তিপণের টাকা আদায় করে থাকে।

তিনি আরও বলেন, আবুল হোসেন স্থানীয় বাঙালি। সে মূলত আরসা সন্ত্রাসীদের অপহরণ সংক্রান্তের তথ্যদাতা। কোনো কৃষকের আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে, কাকে অপহরণ করলে মুক্তিপণ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই সংক্রান্তে তথ্য আরসা সন্ত্রাসীদের নিকট প্রদান করতো। তাছাড়া টেকনাফ, মহেশখালীসহ অন্যান্য জায়গা থেকে লোকাল অস্ত্র সংগ্রহে সে আরসার সদস্যদের সহযোগিতা করতো।

তাদেরকে বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান তিনি।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র‍্যাবের সঙ্গে গোলাগুলি, প্রেপ্তার ৫

আপলোড সময় : ১১:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র‍্যাবের অভিযানে আরসা সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক র‍্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় ৫ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তারসহ অস্ত্র ও গুলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়ার ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোছার খোলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ক্যাম্পটির মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে মো. নেছার (৩০), আব্দুল জব্বারের ছেলে রবি আলম (১৮), শাকের আহমেদের ছেলে মো. আবুল কালাম (২৮), মো. বাশারের ছেলে মো. আয়ুব (২২), বাংলাদেশি নাগরিক আবৃদু রহমানের ছেলে আবুল হোসেন (২০)।

র‍্যাব কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার একদল সদস্য বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ ক্যাম্পে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় র‌্যাবের একটি চৌকস দল অভিযানে যায়।

এ সময় সন্ত্রাসীরা র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তাদের গুলিতে এক র‍্যাব সদস্য আহত হন। পরে র‍্যাব কৌশলে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার ৫ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

আহত র‍্যাব সদস্য বর্তমানে রামু সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সাজ্জাদ হোসেন আরও জানান, ইউনুস মাঝি, মৌলভী ইব্রাহিম ও আরাফাতের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের আরসার একটি গ্রুপ ক্যাম্প-১৫’তে অবস্থান করে। তারা উখিয়া ও হ্নীলার পাহাড়ি এলাকায় স্থানীয় কৃষকসহ নিরীহ লোকদের অপহরণপূর্বক মোটা অংকের টাকা আদায় করে থাকে।

স্থানীয় কৃষক পাহাড়ি এলাকায় কৃষিক্ষেতে কাজ করতে বা বনে কাঠ সংগ্রহ করতে গেলে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সুযোগ বুঝে তাদের অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে গহিন পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে। পরে নির্যাতনের ভিডিও ও ভিকটিমের চিৎকার তার পরিবারের সদস্যদের ফোনের মাধ্যমে শুনিয়ে মুক্তিপণের টাকা আদায় করে থাকে।

তিনি আরও বলেন, আবুল হোসেন স্থানীয় বাঙালি। সে মূলত আরসা সন্ত্রাসীদের অপহরণ সংক্রান্তের তথ্যদাতা। কোনো কৃষকের আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে, কাকে অপহরণ করলে মুক্তিপণ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই সংক্রান্তে তথ্য আরসা সন্ত্রাসীদের নিকট প্রদান করতো। তাছাড়া টেকনাফ, মহেশখালীসহ অন্যান্য জায়গা থেকে লোকাল অস্ত্র সংগ্রহে সে আরসার সদস্যদের সহযোগিতা করতো।

তাদেরকে বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান তিনি।