ঢাকা , শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

রমজানের পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, রমজানের পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু বাজারে গিয়ে একসঙ্গে মাসের বাজার করলে সাপ্লাই চেইনে প্রভাব পড়বে। কিন্তু এক সপ্তাহের বাজার করলে সাপ্লাইয়ে তেমন প্রভাব পড়ে না।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার টিসিবি ভবনে অধিদপ্তরের সভা কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, এবারের রমজানের আগে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে বেতন পেয়ে যাবেন। তখন রমজানের জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে বলে আমরা মনে করি। আমরা রোজার দুদিন আগে সবাই বাজারে চলে যাব। সাধারণত রমজানে সবাই ৪ লিটারের জায়গায় ১০ লিটার তেল ক্রয় করেন। তখন রমজানে বাজারের সাপ্লাই প্রভাব পড়ে।

 

তিনি বলেন, বাজারে পণ্যের সাপ্লাই কম থাকলে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। রমজানের প্রথম দিকে হঠাৎ করে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, আবার রমজানের মাঝে পণ্যের দাম কমে যায়। অনেক অ্যানালাইসিস করে আমরা জানতে পেরেছি বাজারে রপ্তানি পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু আমাদের চরিত্রের কারণে, বাড়তি পণ্য ক্রয় করার কারণে সাপ্লাই চেইনের প্রভাব পড়তে পারে। বাজার থেকে এক সপ্তাহের পণ্য ক্রয় করলে বাজারের সাপ্লাইয়ের প্রভাব পড়ে না।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ভোক্তার ডিজি বলেন, যেসব ব্যবসায়ীরা বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখবেন তাদের ভোক্তা দিবসে পুরস্কৃত করা হবে। আর যারা বাজার মূল্য বৃদ্ধি করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আমাদের কৌশল পরিবর্তন করেছি। আমরা গোপনে কাজ করছি। এবার আমরা খুচরা ব্যবসায়ী আর পাইকারদের ধরব না। মার্কেট ও বাজার কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

 

তিনি বলেন, ক্রেতাদের পণ্যের ভাউচার দিতে হবে ব্যবসায়ীদের। ভাউচার নিয়ে ভাঁওতাবাজি চলবে না। ব্যবসায়ীরা আমাদের কমিটমেন্ট দিয়েছেন, ভাউচার দেবেন। কমিটমেন্ট ভঙ্গ করলে আইনি ব্যবস্থা নেব। কথা না রাখলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

রমজানের পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই

আপলোড সময় : ০৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, রমজানের পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু বাজারে গিয়ে একসঙ্গে মাসের বাজার করলে সাপ্লাই চেইনে প্রভাব পড়বে। কিন্তু এক সপ্তাহের বাজার করলে সাপ্লাইয়ে তেমন প্রভাব পড়ে না।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার টিসিবি ভবনে অধিদপ্তরের সভা কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, এবারের রমজানের আগে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে বেতন পেয়ে যাবেন। তখন রমজানের জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে বলে আমরা মনে করি। আমরা রোজার দুদিন আগে সবাই বাজারে চলে যাব। সাধারণত রমজানে সবাই ৪ লিটারের জায়গায় ১০ লিটার তেল ক্রয় করেন। তখন রমজানে বাজারের সাপ্লাই প্রভাব পড়ে।

 

তিনি বলেন, বাজারে পণ্যের সাপ্লাই কম থাকলে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। রমজানের প্রথম দিকে হঠাৎ করে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, আবার রমজানের মাঝে পণ্যের দাম কমে যায়। অনেক অ্যানালাইসিস করে আমরা জানতে পেরেছি বাজারে রপ্তানি পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু আমাদের চরিত্রের কারণে, বাড়তি পণ্য ক্রয় করার কারণে সাপ্লাই চেইনের প্রভাব পড়তে পারে। বাজার থেকে এক সপ্তাহের পণ্য ক্রয় করলে বাজারের সাপ্লাইয়ের প্রভাব পড়ে না।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ভোক্তার ডিজি বলেন, যেসব ব্যবসায়ীরা বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখবেন তাদের ভোক্তা দিবসে পুরস্কৃত করা হবে। আর যারা বাজার মূল্য বৃদ্ধি করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আমাদের কৌশল পরিবর্তন করেছি। আমরা গোপনে কাজ করছি। এবার আমরা খুচরা ব্যবসায়ী আর পাইকারদের ধরব না। মার্কেট ও বাজার কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

 

তিনি বলেন, ক্রেতাদের পণ্যের ভাউচার দিতে হবে ব্যবসায়ীদের। ভাউচার নিয়ে ভাঁওতাবাজি চলবে না। ব্যবসায়ীরা আমাদের কমিটমেন্ট দিয়েছেন, ভাউচার দেবেন। কমিটমেন্ট ভঙ্গ করলে আইনি ব্যবস্থা নেব। কথা না রাখলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে।