ঢাকা , শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। সবাইকে হান্ডিয়াল নিউজ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

যমুনা নদী থেকে দিনমজুরের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার

ছবি: হান্ডিয়াল নিউজ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়ন থেকে জামাত আলী ফকির (৬০) নামের এক দিনমজুরের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১ মে) দুপুরে উপজেলার গালা ইউনিয়নের বৃ-হাতকোড়া গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।

 

নিহত জামাত আলী ফকির গালা ইউনিয়নের বায়রা গ্রামের মৃত কোবাদ আলী ফকিরের ছেলে।

 

এলাকাবাসী জানান, দিনমজুর জামাত আলী ফকিরের ৭-৮ বছর আগে স্ত্রী-সন্তান তাকে ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে তিনি তার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে যমুনার চরের বৃ-হাতকোড়া গুচ্ছগ্রামের একটি ছোট্ট ঘরে বসবাস করতেন। গত শনিবার বৃ-হাতকোড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা হানিফ ও সাহেব আলী নামের দুই দিনমজুর কাজের কথা বলে জামাত আলীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি অপরিচিত মোবাইল ফোন নম্বর থেকে পরিবারের লোকজনকে জানতে পারেন জামাত আলীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ বৃ-হাতকোড়া যমুনা নদীর তীরে পড়ে আছে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এদিন রাতে মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বায়রা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।

 

এরপর বুধবার (১ মে) সকালে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

 

নিহত জামাত আলীর বৃদ্ধা মা কমেলা খাতুন, ভাই আশরাফ আলী ফকির ও আজাদ ফকির বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন জামাত আলী দিনমজুরি করতেন। এ ছাড়াও গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘোল বিক্রি করে যে পয়সা উপার্জন করতেন তা দিয়ে সংসারে খরচ চালাতেন। বাকি টাকা নিজের কোমড়ের থলেতে বেঁধে রাখতেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই টাকা হাতিয়ে নিতে বৃ-হাতকোড়া গুচ্ছগ্রামের হানিফ ও সাহেব আলী তাকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ যমুনা নদীর তীরে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনার পর থেকে ওই দু’জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।

 

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাশার বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

যমুনা নদী থেকে দিনমজুরের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার

আপলোড সময় : ১০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়ন থেকে জামাত আলী ফকির (৬০) নামের এক দিনমজুরের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১ মে) দুপুরে উপজেলার গালা ইউনিয়নের বৃ-হাতকোড়া গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।

 

নিহত জামাত আলী ফকির গালা ইউনিয়নের বায়রা গ্রামের মৃত কোবাদ আলী ফকিরের ছেলে।

 

এলাকাবাসী জানান, দিনমজুর জামাত আলী ফকিরের ৭-৮ বছর আগে স্ত্রী-সন্তান তাকে ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে তিনি তার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে যমুনার চরের বৃ-হাতকোড়া গুচ্ছগ্রামের একটি ছোট্ট ঘরে বসবাস করতেন। গত শনিবার বৃ-হাতকোড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা হানিফ ও সাহেব আলী নামের দুই দিনমজুর কাজের কথা বলে জামাত আলীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি অপরিচিত মোবাইল ফোন নম্বর থেকে পরিবারের লোকজনকে জানতে পারেন জামাত আলীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ বৃ-হাতকোড়া যমুনা নদীর তীরে পড়ে আছে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এদিন রাতে মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বায়রা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।

 

এরপর বুধবার (১ মে) সকালে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

 

নিহত জামাত আলীর বৃদ্ধা মা কমেলা খাতুন, ভাই আশরাফ আলী ফকির ও আজাদ ফকির বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন জামাত আলী দিনমজুরি করতেন। এ ছাড়াও গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘোল বিক্রি করে যে পয়সা উপার্জন করতেন তা দিয়ে সংসারে খরচ চালাতেন। বাকি টাকা নিজের কোমড়ের থলেতে বেঁধে রাখতেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই টাকা হাতিয়ে নিতে বৃ-হাতকোড়া গুচ্ছগ্রামের হানিফ ও সাহেব আলী তাকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ যমুনা নদীর তীরে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনার পর থেকে ওই দু’জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।

 

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাশার বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।