ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

মোহামেডানকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয় আবাহনীর

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর রাজত্ব যেন অক্ষুণ্নই থাকল। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শিরোপা প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিতেছে আকাশি-নীলরা। এই জয়ে ২৪তম ডিপিএল ট্রফি উঠলো আবাহনীর হাতে—যেটি নিজস্ব রেকর্ড আরও একধাপ ওপরে নিয়ে গেল।

ম্যাচটি ছিল কার্যত ফাইনাল। দুই দলের পয়েন্ট সমান থাকায়, জয়ী দলই হবে চ্যাম্পিয়ন—এই সরল সমীকরণ নিয়েই মাঠে নামে আবাহনী ও মোহামেডান। তবে একগুচ্ছ তারকা খেলোয়াড়কে ছাড়াই আজ মাঠে নামে মোহামেডান। অনুপস্থিত ছিলেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাওহীদ হৃদয়দের মতো তারকারা।

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আবাহনী। ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪০ রানে থামে মোহামেডান। মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম করেন সমান ৫০ রান। রনি তালুকদার করেন ৪৫ রান। বল হাতে আবাহনীর পক্ষে মোসাদ্দেক হোসেন ও মৃত্যুঞ্জয় নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে আবাহনী। তবে ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ম্যাচ কিছুটা চাপে পড়ে। ঠিক সেই সময় হাল ধরেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মোহাম্মদ মিঠুন। দুজনেই থাকেন অপরাজিত। সৈকতের ব্যাট থেকে আসে ৭৮ রান, আর মিঠুন করেন ৬৬ রান। ১৩৫ রানের অনবদ্য জুটিতে জয় এনে দেন দলকে, সেটাও ৪০.৪ ওভারেই

মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে যখন বিজয়ের রানটি আসে, আবাহনীর ডাগআউটে তখন শুরু হয় চেনা উৎসব। আকাশি-নীল পতাকায় ছেয়ে যায় মাঠ। কোচ হান্নান সরকারকে কাঁধে তুলে নেয় শিরোপাজয়ী দল।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মোহামেডানকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয় আবাহনীর

আপলোড সময় : ০৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর রাজত্ব যেন অক্ষুণ্নই থাকল। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শিরোপা প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিতেছে আকাশি-নীলরা। এই জয়ে ২৪তম ডিপিএল ট্রফি উঠলো আবাহনীর হাতে—যেটি নিজস্ব রেকর্ড আরও একধাপ ওপরে নিয়ে গেল।

ম্যাচটি ছিল কার্যত ফাইনাল। দুই দলের পয়েন্ট সমান থাকায়, জয়ী দলই হবে চ্যাম্পিয়ন—এই সরল সমীকরণ নিয়েই মাঠে নামে আবাহনী ও মোহামেডান। তবে একগুচ্ছ তারকা খেলোয়াড়কে ছাড়াই আজ মাঠে নামে মোহামেডান। অনুপস্থিত ছিলেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাওহীদ হৃদয়দের মতো তারকারা।

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আবাহনী। ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪০ রানে থামে মোহামেডান। মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম করেন সমান ৫০ রান। রনি তালুকদার করেন ৪৫ রান। বল হাতে আবাহনীর পক্ষে মোসাদ্দেক হোসেন ও মৃত্যুঞ্জয় নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে আবাহনী। তবে ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ম্যাচ কিছুটা চাপে পড়ে। ঠিক সেই সময় হাল ধরেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মোহাম্মদ মিঠুন। দুজনেই থাকেন অপরাজিত। সৈকতের ব্যাট থেকে আসে ৭৮ রান, আর মিঠুন করেন ৬৬ রান। ১৩৫ রানের অনবদ্য জুটিতে জয় এনে দেন দলকে, সেটাও ৪০.৪ ওভারেই

মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে যখন বিজয়ের রানটি আসে, আবাহনীর ডাগআউটে তখন শুরু হয় চেনা উৎসব। আকাশি-নীল পতাকায় ছেয়ে যায় মাঠ। কোচ হান্নান সরকারকে কাঁধে তুলে নেয় শিরোপাজয়ী দল।