বিশ্ব ইতিহাসের একের পর এক ঘটনার সাক্ষী প্রৌঢ় নারী ভার্জিনিয়া ম্যাকলরিন। গত ১৪ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য মেরিল্যান্ডের একটি বাড়িতে হার্ট অ্যাটাকে তিনি মারা যান। মৃত্যুর সময় ম্যাকলরিনের বয়স ছিল ১১৩ বছর।
ম্যাকলরিনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আমেরিকার প্রভাবশালী থেকে সব শ্রেণির ব্যক্তিরা।
তিনি ১১৩ বছরের জীবনে বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন। তার বয়স যখন মাত্র তিন বছর তখন সাল ১৯১২। সবারই কম বেশি জানা আছে এই বছরের বিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় টাইটানিক জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটে। যখন তার বয়স ৩৬ বছর, শেষ হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ভার্জিনিয়ার ৫৫ বছর বয়সে সই হয় ‘সিভিল রাইটস্ অ্যাক্ট’। ৫৯ বছর বয়সে তিনি শুনেছেন মর্টিন লুথার কিংয়ের হত্যার খবর। ৮০ বছর বয়সে বার্লিন দুর্গের পতন হয়।
এ ছাড়াও ভার্জিনিয়া ম্যাকলরিনের বয়স যখন ৯৯ বছর, তখন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট পায় আমেরিকা। এভাবে বিশ্ব ইতিহাসের একের পর এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন এই নারী।
২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারিতে বারাক হোসেন ওবামা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রিত ছিলেন ম্যাকলরিন। সেখানেই আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় এই বৃদ্ধার। তার ১০৬ বছর বয়সেও তার ‘তারুণ্য’ দেখে অবাক হয়েছিলেন ওবামা ও তার স্ত্রী। প্রাক্তন ফার্স্ট লেডির সঙ্গে নেচেও ছিলেন ভার্জিনিয়া। ম্যাকলরিনের নাচের সেই দৃশ্য এখনও অনেকের মনে অমলিন।
ওবামার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর্বের সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল।