ঢাকা , শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। সবাইকে হান্ডিয়াল নিউজ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

মশার কবলে মন্ত্রী-মেয়র

ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় একটি খালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে গিয়ে মশার কবলে পড়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যৌথ টিম। কিছুক্ষণ আগেই ওষুধ স্প্রে করার পরও মশার কামড় খেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।

বুধবার (২০ মার্চ) ঘটেছে এ ঘটনা।

এদিন উত্তরার ১২ ও ১৪ নম্বর সেক্টরের মধ্যে অবস্থিত খালটিতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানোর অংশ হিসেবে ১২ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর ব্রিজের পাশে খালপাড়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। খালের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। এর আগেই অনুষ্ঠানস্থলে মশার ওষুধ স্প্রে করে ডিএনসিসির কর্মীরা। তারপরও মশা ভন ভন করতে থাকে। সেইসঙ্গে উপস্থিত সবাইকে কামড়াতে থাকে। অনুষ্ঠান শুরুর পর মঞ্চে বসে থাকা সবাইকেই দেখা যায় শুধু শরীর চুলকাতে।

বক্তব্যের শুরুতেই মন্ত্রীর উদ্দেশে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, মাননীয় মন্ত্রী আপনি দেখতেই পাচ্ছেন মশার কী অবস্থা। এই খালটি মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। আপনি স্বচোখে দেখেছেন, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি আসায় আমাদের মনোবল বেড়ে গেছে।

রাজউক ওই খালটি সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দিচ্ছে না মন্তব্য করে মেয়র আতিক বলেন, এই লেকটি রাজউকের। এটি আগে ওয়াসার খাল ছিল। খালটির মালিকানা ডিএনসিসি বুঝে পায়নি। ফলে এখানে কোনো কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না। রাজউক বলে খাল ওয়াসার, ওয়াসা বলে রাজউকের। এই ধরনের খেলা চলতে থাকায় জনগণ কষ্ট পাচ্ছে। তারপরও চারবার খালটি পরিষ্কার করেছি, কিন্তু কয়েকদিন পর আবার তা কচুরিপানায় ভরে যায়। লেকটি আমাদের দিলে আমরা নিয়মিত কার্যক্রম চালাব। হাতিরঝিলের আদলে গড়ে তুলব এটাকে।

পরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, এবার মশার উপদ্রব গত বছরের চেয়ে বেশি হবে বলে ধারণা করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কয়েকদিন আগে ডিসিদের সম্মেলনে একটা অনুষ্ঠানে আমি প্রধান অতিথি ছিলাম। আমি ভুলে যাই নাই, গত বছর এডিস মশা আমাদের গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে। এবারও আমরা ধারণা করছি, এর মাত্রা আরও বাড়তে পারে। এজন্য ডিসিদেরও এ ব্যাপারে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।

এরপর মন্ত্রী বলেন, আমরা জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছি মশা নিধন করার জন্য এবং জনগণকে সচেতন করার জন্য। মশা মারার ওষুধ, যন্ত্রপাতি ঠিক আছে কিনা, সিটি করপোরেশনের প্রস্তুতি কেমন এগুলো পর্যালোচনা করে মানুষকে সচেতন করার জন্য কীভাবে আরো বেশি কাজ করা যায়, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে রাজউকের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার, নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান, অধ্যাপক আকতার মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মশার কবলে মন্ত্রী-মেয়র

আপলোড সময় : ০৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

রাজধানীর উত্তরায় একটি খালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে গিয়ে মশার কবলে পড়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যৌথ টিম। কিছুক্ষণ আগেই ওষুধ স্প্রে করার পরও মশার কামড় খেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।

বুধবার (২০ মার্চ) ঘটেছে এ ঘটনা।

এদিন উত্তরার ১২ ও ১৪ নম্বর সেক্টরের মধ্যে অবস্থিত খালটিতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানোর অংশ হিসেবে ১২ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর ব্রিজের পাশে খালপাড়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। খালের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। এর আগেই অনুষ্ঠানস্থলে মশার ওষুধ স্প্রে করে ডিএনসিসির কর্মীরা। তারপরও মশা ভন ভন করতে থাকে। সেইসঙ্গে উপস্থিত সবাইকে কামড়াতে থাকে। অনুষ্ঠান শুরুর পর মঞ্চে বসে থাকা সবাইকেই দেখা যায় শুধু শরীর চুলকাতে।

বক্তব্যের শুরুতেই মন্ত্রীর উদ্দেশে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, মাননীয় মন্ত্রী আপনি দেখতেই পাচ্ছেন মশার কী অবস্থা। এই খালটি মশা উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। আপনি স্বচোখে দেখেছেন, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি আসায় আমাদের মনোবল বেড়ে গেছে।

রাজউক ওই খালটি সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দিচ্ছে না মন্তব্য করে মেয়র আতিক বলেন, এই লেকটি রাজউকের। এটি আগে ওয়াসার খাল ছিল। খালটির মালিকানা ডিএনসিসি বুঝে পায়নি। ফলে এখানে কোনো কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না। রাজউক বলে খাল ওয়াসার, ওয়াসা বলে রাজউকের। এই ধরনের খেলা চলতে থাকায় জনগণ কষ্ট পাচ্ছে। তারপরও চারবার খালটি পরিষ্কার করেছি, কিন্তু কয়েকদিন পর আবার তা কচুরিপানায় ভরে যায়। লেকটি আমাদের দিলে আমরা নিয়মিত কার্যক্রম চালাব। হাতিরঝিলের আদলে গড়ে তুলব এটাকে।

পরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, এবার মশার উপদ্রব গত বছরের চেয়ে বেশি হবে বলে ধারণা করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কয়েকদিন আগে ডিসিদের সম্মেলনে একটা অনুষ্ঠানে আমি প্রধান অতিথি ছিলাম। আমি ভুলে যাই নাই, গত বছর এডিস মশা আমাদের গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে। এবারও আমরা ধারণা করছি, এর মাত্রা আরও বাড়তে পারে। এজন্য ডিসিদেরও এ ব্যাপারে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।

এরপর মন্ত্রী বলেন, আমরা জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছি মশা নিধন করার জন্য এবং জনগণকে সচেতন করার জন্য। মশা মারার ওষুধ, যন্ত্রপাতি ঠিক আছে কিনা, সিটি করপোরেশনের প্রস্তুতি কেমন এগুলো পর্যালোচনা করে মানুষকে সচেতন করার জন্য কীভাবে আরো বেশি কাজ করা যায়, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে রাজউকের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার, নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান, অধ্যাপক আকতার মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।