ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। সবাইকে হান্ডিয়াল নিউজ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, একই পরিবারের ১১ জন আক্রান্ত

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। ডায়রিয়া ছাড়াও জ্বর, পেটের পীড়া, সর্দি-কাশি, বুক ও শরীরের ব্যথাসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভিড়ও লক্ষ করা গেছে। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি। এ ছাড়া একই পরিবারের ১১ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ছেংগারচর পৌরসভার ঠাকুরচর গ্রামের মো. রিপন মিয়ার পরিবারের ১১ জন সদস্য ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছে। ৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্র জানায়, গত ৫ দিনে ২১ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে বৃদ্ধ ও শিশুর সংখ্যা বেশি।

ঠাকুরচর গ্রামের মো. রিপন মিয়া জানান, গতকাল বুধবার বিকেলে হঠাৎ করে আমার স্ত্রী আসমা আক্তার (৩৫), আমার মা-ছেলে সন্তানসহ ১১ জন ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়ে পড়ে। পরে তাদেরকে মরাধন হাসপাতালে নিলে ডাক্তাররা হাসপাতালে ভর্তি দিয়ে দেয়।

ঘনিয়ারপাড় গ্রামের সহিদা বেগম জানান (৬৫) জানান, ইফতারের পরে পেটে সমস্যা দিলে কয়েকবার টয়লেটে গেছি। শরীরের অবস্থা খারাপ হলে আমার ছেলে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. হাসিবুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, আবহাওয়া পরিবর্তন, খোলা-বাসি খাবার খাওয়া, সারা দিন রোজা রেখে ইফতারে ভাজা-পোড়া বাসি খাবার খাওয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

তিনি আরও জানান, ডায়রিয়া রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। স্যালাইনসহ ওষুধপত্রের তেমন সংকট নেই।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, একই পরিবারের ১১ জন আক্রান্ত

আপলোড সময় : ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। ডায়রিয়া ছাড়াও জ্বর, পেটের পীড়া, সর্দি-কাশি, বুক ও শরীরের ব্যথাসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভিড়ও লক্ষ করা গেছে। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি। এ ছাড়া একই পরিবারের ১১ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ছেংগারচর পৌরসভার ঠাকুরচর গ্রামের মো. রিপন মিয়ার পরিবারের ১১ জন সদস্য ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছে। ৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্র জানায়, গত ৫ দিনে ২১ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে বৃদ্ধ ও শিশুর সংখ্যা বেশি।

ঠাকুরচর গ্রামের মো. রিপন মিয়া জানান, গতকাল বুধবার বিকেলে হঠাৎ করে আমার স্ত্রী আসমা আক্তার (৩৫), আমার মা-ছেলে সন্তানসহ ১১ জন ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়ে পড়ে। পরে তাদেরকে মরাধন হাসপাতালে নিলে ডাক্তাররা হাসপাতালে ভর্তি দিয়ে দেয়।

ঘনিয়ারপাড় গ্রামের সহিদা বেগম জানান (৬৫) জানান, ইফতারের পরে পেটে সমস্যা দিলে কয়েকবার টয়লেটে গেছি। শরীরের অবস্থা খারাপ হলে আমার ছেলে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. হাসিবুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, আবহাওয়া পরিবর্তন, খোলা-বাসি খাবার খাওয়া, সারা দিন রোজা রেখে ইফতারে ভাজা-পোড়া বাসি খাবার খাওয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

তিনি আরও জানান, ডায়রিয়া রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। স্যালাইনসহ ওষুধপত্রের তেমন সংকট নেই।