ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

বাংলাদেশে এবছরে আরও ৩০ লাখ মানুষ ‘অতি গরিব’ হওয়ার শঙ্কা

চলতি বছর বাংলাদেশে নতুন করে ৩০ লাখ মানুষ ‘অতি গরিব’ হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

এ শঙ্কা সত্যি হলে অতিদরিদ্রের হার বেড়ে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ হবে। অর্থনৈতিক ধীরগতির কারণে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর ওপর বেশি প্রভাব পড়তে পারে। এতে বৈষম্য আরও বাড়বে বলে বিশ্বব্যাংক মনে করে।

শুধু অতি দারিদ্র্যের হার নয়, জাতীয় দারিদ্র্যের হারও বাড়বে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, অতি দারিদ্র্যের হার ৭ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ৯ দশমিক ৩ শতাংশে উঠবে। জাতীয় দারিদ্র্য হার গত বছরে ছিল সাড়ে ২০ শতাংশ। ২০২৫ সালে তা বেড়ে ২২ দশমিক ৯ শতাংশ হবে।

২০২২ সালের জনশুমারি অনুসারে, দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। বিশ্বব্যাংকের হিসাব বিবেচনায় নিলে ২০২৫ সালের শেষে অতি গরিব মানুষের সংখ্যা হবে ১ কোটি ৫৮ লাখের মতো। অন্যদিকে জাতীয় দারিদ্র্য হার বা গরিব মানুষের সংখ্যা হবে ৩ কোটি ৯০ লাখের মতো।

মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যায় মূলত প্রকৃত আয় কমে যাওয়ার কারণে কিংবা গরিব থেকে আরও গরিব বা অতি গরিব হয়। গরিব মানুষের সংখ্যা বাড়ার কারণ হিসেবে দুর্বল শ্রমবাজার ও অর্থনৈতিক শ্লথগতির কথাও প্রবতবেদনে বলেছে বিশ্বব্যাংক।

এ ছাড়া শ্রমবাজার পরিস্থিতি চলতি বছর দুর্বল থাকতে পারে বলে বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সংস্থাটির হিসাবে, কোনো ব্যক্তির দৈনিক আয় ২ দশমিক ১৫ ডলারের কম হলে তাকে হতদরিদ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০২২ সালে বাংলাদেশে এ হার ছিল ৫ শতাংশ। ২০২৫ সালে হতদরিদ্রের হার ৯ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।

ক্রয়ক্ষমতার সমতা (পিপিপি) অনুসারে, দিনে ২ দশমিক ১৫ ডলার আয় করে প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা কেনার সামর্থ্য না থাকলে অতিদরিদ্র হিসেবে ধরা হয়। এটি আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যরেখা।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বাংলাদেশে এবছরে আরও ৩০ লাখ মানুষ ‘অতি গরিব’ হওয়ার শঙ্কা

আপলোড সময় : ০৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

চলতি বছর বাংলাদেশে নতুন করে ৩০ লাখ মানুষ ‘অতি গরিব’ হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

এ শঙ্কা সত্যি হলে অতিদরিদ্রের হার বেড়ে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ হবে। অর্থনৈতিক ধীরগতির কারণে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর ওপর বেশি প্রভাব পড়তে পারে। এতে বৈষম্য আরও বাড়বে বলে বিশ্বব্যাংক মনে করে।

শুধু অতি দারিদ্র্যের হার নয়, জাতীয় দারিদ্র্যের হারও বাড়বে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, অতি দারিদ্র্যের হার ৭ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ৯ দশমিক ৩ শতাংশে উঠবে। জাতীয় দারিদ্র্য হার গত বছরে ছিল সাড়ে ২০ শতাংশ। ২০২৫ সালে তা বেড়ে ২২ দশমিক ৯ শতাংশ হবে।

২০২২ সালের জনশুমারি অনুসারে, দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। বিশ্বব্যাংকের হিসাব বিবেচনায় নিলে ২০২৫ সালের শেষে অতি গরিব মানুষের সংখ্যা হবে ১ কোটি ৫৮ লাখের মতো। অন্যদিকে জাতীয় দারিদ্র্য হার বা গরিব মানুষের সংখ্যা হবে ৩ কোটি ৯০ লাখের মতো।

মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যায় মূলত প্রকৃত আয় কমে যাওয়ার কারণে কিংবা গরিব থেকে আরও গরিব বা অতি গরিব হয়। গরিব মানুষের সংখ্যা বাড়ার কারণ হিসেবে দুর্বল শ্রমবাজার ও অর্থনৈতিক শ্লথগতির কথাও প্রবতবেদনে বলেছে বিশ্বব্যাংক।

এ ছাড়া শ্রমবাজার পরিস্থিতি চলতি বছর দুর্বল থাকতে পারে বলে বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সংস্থাটির হিসাবে, কোনো ব্যক্তির দৈনিক আয় ২ দশমিক ১৫ ডলারের কম হলে তাকে হতদরিদ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০২২ সালে বাংলাদেশে এ হার ছিল ৫ শতাংশ। ২০২৫ সালে হতদরিদ্রের হার ৯ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।

ক্রয়ক্ষমতার সমতা (পিপিপি) অনুসারে, দিনে ২ দশমিক ১৫ ডলার আয় করে প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা কেনার সামর্থ্য না থাকলে অতিদরিদ্র হিসেবে ধরা হয়। এটি আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যরেখা।