ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

বরগুনায় তরমুজের বাম্পার ফলন

জেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ব্যাপক। বাজারে তরমুজের চাহিদা ও ভালো সরবরাহ রয়েছে।

বরগুনা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর তরমুজের আবাদ বেড়েছে। ১২ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। এ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিলো ৮হাজার ৩শ হেক্টর। এ বছরে উৎপাদিত তরমুজের সম্ভাব্য বাজারমূল্য ১হাজার ৭শ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের সহকারী উপ-পরিচালক এসএম বদরুল আলম।

 

মাঠজুড়ে তরমুজের সমারোহ। কৃষকের তিন মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর মাঠ থেকে বাজারে যাচ্ছে বরগুনার তরমুজ। এ বছর বাম্পার ফলনে কৃষকও ব্যাপক লাভের স্বপ্ন দেখছে। বাজারে বিভিন্ন সাইজের তরমুজের দাম ১শ টাকা থেকে ৬শ টাকা পর্যন্ত ওঠা-নামা করছে। রমজানে বরগুনা বাজারের তরমুজের চাহিদা স্বাভাবিক আছে জানিয়েছেন, আড়তদার আইয়ুব আলি খান। তিনি আরও জানান, বড় তরমুজের চেয়ে মাঝারি ও ছোট তরমুজের চাহিদা বেশি। বর্তমানে বাজারে সর্বনিম্ন ২০ টাকায়ও তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে।

 

বরগুনার কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. শাহ্জাহান আলী জানান, ‘কৃষি বিপণন বিধি’ অনুযায়ী তরমুজের ক্ষেত্রে উৎপাদনের পর থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে ৩০ শতাংশ লাভ করতে পারবে। বাজারে কিছু অসংগতি রয়েছে, যা আমরা নিয়মিত তদারকি করছি।

 

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরগুনার সহকারী পরিচালক সুচন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, রমজানের শুরু থেকেই আমরা তরমুজের ক্ষেত থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত মনিটরিং করছি। ক্ষেত ও পাইকারের কাছে যে দামে বিক্রি হচ্ছে সেটা যৌক্তিক পর্যায়ে আছে। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা বাজারের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে গিয়ে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি দাম নিচ্ছেন। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বরগুনায় তরমুজের বাম্পার ফলন

আপলোড সময় : ০৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

জেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ব্যাপক। বাজারে তরমুজের চাহিদা ও ভালো সরবরাহ রয়েছে।

বরগুনা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর তরমুজের আবাদ বেড়েছে। ১২ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। এ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিলো ৮হাজার ৩শ হেক্টর। এ বছরে উৎপাদিত তরমুজের সম্ভাব্য বাজারমূল্য ১হাজার ৭শ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের সহকারী উপ-পরিচালক এসএম বদরুল আলম।

 

মাঠজুড়ে তরমুজের সমারোহ। কৃষকের তিন মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর মাঠ থেকে বাজারে যাচ্ছে বরগুনার তরমুজ। এ বছর বাম্পার ফলনে কৃষকও ব্যাপক লাভের স্বপ্ন দেখছে। বাজারে বিভিন্ন সাইজের তরমুজের দাম ১শ টাকা থেকে ৬শ টাকা পর্যন্ত ওঠা-নামা করছে। রমজানে বরগুনা বাজারের তরমুজের চাহিদা স্বাভাবিক আছে জানিয়েছেন, আড়তদার আইয়ুব আলি খান। তিনি আরও জানান, বড় তরমুজের চেয়ে মাঝারি ও ছোট তরমুজের চাহিদা বেশি। বর্তমানে বাজারে সর্বনিম্ন ২০ টাকায়ও তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে।

 

বরগুনার কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. শাহ্জাহান আলী জানান, ‘কৃষি বিপণন বিধি’ অনুযায়ী তরমুজের ক্ষেত্রে উৎপাদনের পর থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে ৩০ শতাংশ লাভ করতে পারবে। বাজারে কিছু অসংগতি রয়েছে, যা আমরা নিয়মিত তদারকি করছি।

 

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরগুনার সহকারী পরিচালক সুচন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, রমজানের শুরু থেকেই আমরা তরমুজের ক্ষেত থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত মনিটরিং করছি। ক্ষেত ও পাইকারের কাছে যে দামে বিক্রি হচ্ছে সেটা যৌক্তিক পর্যায়ে আছে। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা বাজারের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে গিয়ে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি দাম নিচ্ছেন। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি।