ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে আবারও মানববন্ধন

রাজশাহীর বাঘায় প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেকের পদত্যাগের দাবিতে আবারও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৪ মে) বেলা ১২টায় উপজেলা পরিষদের সামনে মনিগ্রাম ইউনিয়নের মীরগঞ্জের মহদিপুর হিলালপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ঘন্টা ব্যাপি এই মানববন্ধন করেন।

জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বানিজ্য, অনিয়ম, দূর্নীতি, অনৈতিকভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছিলেন। কিছুদিন আগে বিদ্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কিছু লোক নিয়োগ করা হয়। টাকা নিয়ে তাদের নিয়োগ দেন প্রধান শিক্ষক। এই টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের দাবি করেন সহকাারী শিক্ষকরা। এতে প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক রাজি না হওয়ায় সহকারী শিক্ষককরা একত্রিত হয়ে ২০ জানুয়ারী তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। এ ঘটনার পর স্থানীয়সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীরা প্রধান শিক্ষকের ২৪ লক্ষ টাকা নিয়োগ বানিজ্য ও অনিয়ম এবং দূনীতির বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ৪ মাস অতিবাহিত হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেকের পদত্যাগের দাবিতে আবারও মানববন্ধন করেন।

তবে ওই সময় প্রধান শিক্ষককে মারপিট করে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরালও হয়েছিল।

আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, জাকির হোসেন, রেশমা খাতুন, রফিকুল ইসলাম, মকশেদ আলী প্রমুখ।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক বলেন, সহকারী শিক্ষকরা কিছু সময়ে অযৌক্তিক দাবি করে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে সামর্থের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কিছু দাবি প্রতিষ্টানের পক্ষে মানা সম্ভব না হলে তারা সবাই একত্রিত হয়ে অকথ্যভাষায় কথাবার্তা বলে। তাদের কথা সহ্য করে সঠিকভাবে প্রতিষ্টান পরিচালনার চেষ্টা করে আসছিলাম। ২০ জানুয়ারী আমাকে শিক্ষকরা মারপিট করে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়। আমি দীর্ঘ ৪ মাস পর বিদ্যালয়ে গেলে তারা একই কাজ করে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেকের নিয়োগ বানিজ্য ও অনিয়ম এবং দূনীতির বিষয়ে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বিতর্কে জর্জরিত ফরিদপুর উপজেলা বিএনপি কমিটি ৯ দিনের মাথায় বাতিল

প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে আবারও মানববন্ধন

আপলোড সময় : ১০:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

রাজশাহীর বাঘায় প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেকের পদত্যাগের দাবিতে আবারও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৪ মে) বেলা ১২টায় উপজেলা পরিষদের সামনে মনিগ্রাম ইউনিয়নের মীরগঞ্জের মহদিপুর হিলালপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ঘন্টা ব্যাপি এই মানববন্ধন করেন।

জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বানিজ্য, অনিয়ম, দূর্নীতি, অনৈতিকভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছিলেন। কিছুদিন আগে বিদ্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কিছু লোক নিয়োগ করা হয়। টাকা নিয়ে তাদের নিয়োগ দেন প্রধান শিক্ষক। এই টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের দাবি করেন সহকাারী শিক্ষকরা। এতে প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক রাজি না হওয়ায় সহকারী শিক্ষককরা একত্রিত হয়ে ২০ জানুয়ারী তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। এ ঘটনার পর স্থানীয়সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীরা প্রধান শিক্ষকের ২৪ লক্ষ টাকা নিয়োগ বানিজ্য ও অনিয়ম এবং দূনীতির বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ৪ মাস অতিবাহিত হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেকের পদত্যাগের দাবিতে আবারও মানববন্ধন করেন।

তবে ওই সময় প্রধান শিক্ষককে মারপিট করে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরালও হয়েছিল।

আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, জাকির হোসেন, রেশমা খাতুন, রফিকুল ইসলাম, মকশেদ আলী প্রমুখ।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক বলেন, সহকারী শিক্ষকরা কিছু সময়ে অযৌক্তিক দাবি করে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে সামর্থের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কিছু দাবি প্রতিষ্টানের পক্ষে মানা সম্ভব না হলে তারা সবাই একত্রিত হয়ে অকথ্যভাষায় কথাবার্তা বলে। তাদের কথা সহ্য করে সঠিকভাবে প্রতিষ্টান পরিচালনার চেষ্টা করে আসছিলাম। ২০ জানুয়ারী আমাকে শিক্ষকরা মারপিট করে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়। আমি দীর্ঘ ৪ মাস পর বিদ্যালয়ে গেলে তারা একই কাজ করে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেকের নিয়োগ বানিজ্য ও অনিয়ম এবং দূনীতির বিষয়ে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।