ঢাকা , বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

প্রকৃত পাওনাদার ইভ্যালির অর্থ ফেরত পেতে পারেন : হাইকোর্ট

ফাইল ছবি

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির অবসায়ন ও পাওনা অর্থ ফেরত চেয়ে রিট মামলায় পক্ষভুক্ত হতে এক গ্রাহকের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সম্প্রতি এ রিট খারিজ করে আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। মো. মোহসান হোসেন নামে ওই গ্রাহকের পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন খারিজ করে বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।হাইকোর্ট বলেছেন, ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কোনো গ্রাহক যদি প্রকৃত পাওনাদার প্রমাণিত হন; তাহলে ১৯৯৪ সালে কোম্পানি আইনের অধীনে সেটা আদায়যোগ্য। তিনি পাওনা পেতে পারেন। তবে এই মুহূর্তে তা ফেরত চেয়ে রিটে কোনো আবেদনকারীকে পক্ষভুক্ত করলে ফ্লাডগেট খুলে যাবে। এতে সমস্যা বহুগুণ বেড়ে যাবে। তাই আবেদনটি খারিজ করা হলো।

আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, যদি আবেদনকারীকে এ রিট মামলায় পক্ষভুক্ত করা হয় তাহলে অসংখ্য গ্রাহক আদালতে এ ধরনের আবেদন নিয়ে আসবে। এতে সমস্যা বহুগুণ বেড়ে যাবে। মূল রিট মামলার যথাযথ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে যা বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

 

হাইকোর্ট আবেদনকারীকে আশ্বস্ত করে আদেশের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে আবেদনকারী যদি পাওনাদার হন এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর বিধান অনুযায়ী আবেদনকারী পাওনা পেতে পারেন। তার দাবি আদায়যোগ্য হতে পারে। তবে এই মুহূর্তে তা চেয়ে আবেদন বিবেচনা যোগ্য নয়।

 

এ বিষয়ে মূল রিট মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম ও ব্যারিস্টার মাহসিব হোসেন শুনানিতে বলেন, যদি আবেদনকারী একজন পাওনাদার হিসেবে প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে তার দাবি কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর প্রাসঙ্গিক বিধানের অধীনে বাস্তবায়িত হবে। তাকে রিট মামলায় পক্ষভুক্ত করার কোনো প্রয়োজন নেই।

 

তারা আদালতে বলেন, শেষ পর্যন্ত যদি কোম্পানিটি অবসায়ন হয়; সেক্ষেত্রে আবেদনকারী পাওনা দাবি করে লিকুইডেটরের যাবেন। পরে তার পাওনা কোম্পানি আইনের বিধান অনুযায়ী অগ্রাধিকার অনুযায়ী তা পেতে পারেন।

 

আবেদনকারী মো. মোহসান হোসেন ইভ্যালির অনলাইন শপিংয়ের ওয়েবসাইটে একটি গ্রাহক অ্যাকাউন্ট খোলেন এবং একটি বাজাজ পালসার নিয়ন মোটরবাইক কেনার অর্ডার দেন। সেই অনুযায়ী ৯৭ হাজার ৪৪৮ টাকা পেমেন্ট করেন। কিন্তু পরে বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া থেকে জানতে পারেন যে, ইভ্যালি কোম্পানি তার গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে জনসাধারণের অর্থ প্রতারণা করেছে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

প্রকৃত পাওনাদার ইভ্যালির অর্থ ফেরত পেতে পারেন : হাইকোর্ট

আপলোড সময় : ০৯:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির অবসায়ন ও পাওনা অর্থ ফেরত চেয়ে রিট মামলায় পক্ষভুক্ত হতে এক গ্রাহকের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সম্প্রতি এ রিট খারিজ করে আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। মো. মোহসান হোসেন নামে ওই গ্রাহকের পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন খারিজ করে বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।হাইকোর্ট বলেছেন, ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কোনো গ্রাহক যদি প্রকৃত পাওনাদার প্রমাণিত হন; তাহলে ১৯৯৪ সালে কোম্পানি আইনের অধীনে সেটা আদায়যোগ্য। তিনি পাওনা পেতে পারেন। তবে এই মুহূর্তে তা ফেরত চেয়ে রিটে কোনো আবেদনকারীকে পক্ষভুক্ত করলে ফ্লাডগেট খুলে যাবে। এতে সমস্যা বহুগুণ বেড়ে যাবে। তাই আবেদনটি খারিজ করা হলো।

আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, যদি আবেদনকারীকে এ রিট মামলায় পক্ষভুক্ত করা হয় তাহলে অসংখ্য গ্রাহক আদালতে এ ধরনের আবেদন নিয়ে আসবে। এতে সমস্যা বহুগুণ বেড়ে যাবে। মূল রিট মামলার যথাযথ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে যা বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

 

হাইকোর্ট আবেদনকারীকে আশ্বস্ত করে আদেশের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে আবেদনকারী যদি পাওনাদার হন এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর বিধান অনুযায়ী আবেদনকারী পাওনা পেতে পারেন। তার দাবি আদায়যোগ্য হতে পারে। তবে এই মুহূর্তে তা চেয়ে আবেদন বিবেচনা যোগ্য নয়।

 

এ বিষয়ে মূল রিট মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম ও ব্যারিস্টার মাহসিব হোসেন শুনানিতে বলেন, যদি আবেদনকারী একজন পাওনাদার হিসেবে প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে তার দাবি কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর প্রাসঙ্গিক বিধানের অধীনে বাস্তবায়িত হবে। তাকে রিট মামলায় পক্ষভুক্ত করার কোনো প্রয়োজন নেই।

 

তারা আদালতে বলেন, শেষ পর্যন্ত যদি কোম্পানিটি অবসায়ন হয়; সেক্ষেত্রে আবেদনকারী পাওনা দাবি করে লিকুইডেটরের যাবেন। পরে তার পাওনা কোম্পানি আইনের বিধান অনুযায়ী অগ্রাধিকার অনুযায়ী তা পেতে পারেন।

 

আবেদনকারী মো. মোহসান হোসেন ইভ্যালির অনলাইন শপিংয়ের ওয়েবসাইটে একটি গ্রাহক অ্যাকাউন্ট খোলেন এবং একটি বাজাজ পালসার নিয়ন মোটরবাইক কেনার অর্ডার দেন। সেই অনুযায়ী ৯৭ হাজার ৪৪৮ টাকা পেমেন্ট করেন। কিন্তু পরে বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া থেকে জানতে পারেন যে, ইভ্যালি কোম্পানি তার গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে জনসাধারণের অর্থ প্রতারণা করেছে।