ঢাকা , বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

দিনাজপুরে আগাম জাতের আলুর বাম্পার ফলন, দাম পেয়ে খুশি চাষিরা

hn24

দিনাজপুরে আগাম জাতের আলু তুলতে শুরু করেছে চাষিরা। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার কম উৎপাদন খরচে আলুর বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা আগাম জাতের আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। জমি থেকে পাইকাররা ৪৩ টাকা কেজি দরে আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর জেলায় ২০ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে। এবার আগাম জাতের আলু হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ১৭ মেট্রিক টন।

জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার কৃষক ময়ছার আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবার আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি দেড় বিঘা জমিতে মাত্র ৫৫ দিন পরে খেত থেকে নুতন আলু তুলতে শুরু করেছি। আলুর ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এবার আবহওয়া ভালো থাকায় কীটনাশক স্প্রে করতে হয়নি। দেড় বিঘা জমিতে আলুর উৎপাদন খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। আলু বিক্রি করার জন্য হাটে নিয়ে যেতে হচ্ছে না পাইকাররা জমি থেকে আলু ৪৩ টাকা কেজিতে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। দেড় বিঘা জমিতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়েও প্রায় দুই লাখ টাকা লাভ হবে আশা করছি।

কৃষক রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি ইতি মধ্যে প্রায় ১০ কাটা জমির আলু খেত থেকে তুলতে শুরু করেছি। তিন বিঘা জমিতে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকার মত।আলু যে হারে এবার ফলন হয়েছে তাতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা লাভ হবে।গতবছর আলুর দামটা কম ছিলো উৎপাদন খরচটা বেশি ছিলো এবার আলুর বাজার ভালো আবার ফলন ভালো হয়েছে তাই এবার লাভ একটু বেশি হচ্ছে।

কৃষক আব্দুল মতিন ঢাকা পোস্টকে বলেন,আগাম জাতের আলু ১ বিঘা জমিতে লাগিয়েছি। ফলন ভলো হয়েছে গতবছর লাভ করতে পারি নাই এবার লাভবান হব।এবার এককেজি আলু জমি থেকে ৪৩ টাকা থেকে ৪৪ টাকা করে পাইকারি বিক্রি করছি।গতবছর ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা বিক্রি করছি।

কৃষক রফিকুল ইসলাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রায় চার বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছি আলু তুলতে আর সপ্তাহ খানেক দেরি হবে এবার আলুর বাজার চড়া। এবার শীত আর কুয়াশা কম হওয়ায় আলুর উৎপাদন খরচ কম হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আলু বাজার ভালো থাকলে কৃষকরা লাভবান হবে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিনহাজুল হক নবাব ঢাকা পোস্টকে বলেন, কৃষকরা ফসলের মাঠ থেকে আগাম জাতের আলু উত্তলন শুরু করেছে। আলু চাষিদের কৃষি অফিস থেকে সবধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগাম জাতের আলুর ফলন তুলনামুলক কম হয় তারপরেও এবার ফলন মোটমুটি ভালো হয়েছে। কৃষকরা বর্তমান বাজারে আলু দাম বেশ ভালো পাচ্ছে। এর পরের মৌসুমে আগাম জাতাতে আলু লাগানোর জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।

চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা ঢাকা পোস্টকে বলেন,  আগাম জাতের আলু চাষিরা ৫৫ থেকে ৬০ দিনে ফসল উত্তোলনের পর আবার তার ভুট্টা ও বোর ধান লাগাবে। আগে ধান কেটে জমি ফেলে রাখতেন কৃষকরা এখন ৩টি ফসল উৎপাদন করছে কৃষকরা। এবার আগাম জাতের আলু হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ১৭ মেট্রিক টন।বাজারে আলু দাম ভালো থাকায় আগাম জাতের আলু চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

দিনাজপুরে আগাম জাতের আলুর বাম্পার ফলন, দাম পেয়ে খুশি চাষিরা

আপলোড সময় : ১০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪

দিনাজপুরে আগাম জাতের আলু তুলতে শুরু করেছে চাষিরা। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার কম উৎপাদন খরচে আলুর বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা আগাম জাতের আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। জমি থেকে পাইকাররা ৪৩ টাকা কেজি দরে আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর জেলায় ২০ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে। এবার আগাম জাতের আলু হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ১৭ মেট্রিক টন।

জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার কৃষক ময়ছার আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবার আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি দেড় বিঘা জমিতে মাত্র ৫৫ দিন পরে খেত থেকে নুতন আলু তুলতে শুরু করেছি। আলুর ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এবার আবহওয়া ভালো থাকায় কীটনাশক স্প্রে করতে হয়নি। দেড় বিঘা জমিতে আলুর উৎপাদন খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। আলু বিক্রি করার জন্য হাটে নিয়ে যেতে হচ্ছে না পাইকাররা জমি থেকে আলু ৪৩ টাকা কেজিতে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। দেড় বিঘা জমিতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়েও প্রায় দুই লাখ টাকা লাভ হবে আশা করছি।

কৃষক রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি ইতি মধ্যে প্রায় ১০ কাটা জমির আলু খেত থেকে তুলতে শুরু করেছি। তিন বিঘা জমিতে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকার মত।আলু যে হারে এবার ফলন হয়েছে তাতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা লাভ হবে।গতবছর আলুর দামটা কম ছিলো উৎপাদন খরচটা বেশি ছিলো এবার আলুর বাজার ভালো আবার ফলন ভালো হয়েছে তাই এবার লাভ একটু বেশি হচ্ছে।

কৃষক আব্দুল মতিন ঢাকা পোস্টকে বলেন,আগাম জাতের আলু ১ বিঘা জমিতে লাগিয়েছি। ফলন ভলো হয়েছে গতবছর লাভ করতে পারি নাই এবার লাভবান হব।এবার এককেজি আলু জমি থেকে ৪৩ টাকা থেকে ৪৪ টাকা করে পাইকারি বিক্রি করছি।গতবছর ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা বিক্রি করছি।

কৃষক রফিকুল ইসলাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রায় চার বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছি আলু তুলতে আর সপ্তাহ খানেক দেরি হবে এবার আলুর বাজার চড়া। এবার শীত আর কুয়াশা কম হওয়ায় আলুর উৎপাদন খরচ কম হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আলু বাজার ভালো থাকলে কৃষকরা লাভবান হবে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিনহাজুল হক নবাব ঢাকা পোস্টকে বলেন, কৃষকরা ফসলের মাঠ থেকে আগাম জাতের আলু উত্তলন শুরু করেছে। আলু চাষিদের কৃষি অফিস থেকে সবধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগাম জাতের আলুর ফলন তুলনামুলক কম হয় তারপরেও এবার ফলন মোটমুটি ভালো হয়েছে। কৃষকরা বর্তমান বাজারে আলু দাম বেশ ভালো পাচ্ছে। এর পরের মৌসুমে আগাম জাতাতে আলু লাগানোর জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।

চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা ঢাকা পোস্টকে বলেন,  আগাম জাতের আলু চাষিরা ৫৫ থেকে ৬০ দিনে ফসল উত্তোলনের পর আবার তার ভুট্টা ও বোর ধান লাগাবে। আগে ধান কেটে জমি ফেলে রাখতেন কৃষকরা এখন ৩টি ফসল উৎপাদন করছে কৃষকরা। এবার আগাম জাতের আলু হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ১৭ মেট্রিক টন।বাজারে আলু দাম ভালো থাকায় আগাম জাতের আলু চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।