ঢাকা , শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

তেঁতুলিয়ায় হরিজন সম্প্রদায়ের ছট পূজা উদযাপিত

ছবি সংগৃহীত

চপঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত নদী মহানন্দা নদীর দুই পাড়ে হরিজন সম্প্রদায়ের সদস্যরা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় ছট পূজা পালন করছেন।

 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের ঈদগাঁহবস্তী এলাকার মহানন্দা নদীর তীরে এই পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পূজার শেষ দিন সূর্যোদয়ের সময় স্নান, পূজা-অর্চনা এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।

 

ছট পূজায় মূলত তিন দিন উপবাস থেকে সূর্য নারায়ণের পূজা করা হয়। এ পূজার মাধ্যমে মনোবাসনা পূর্ণ করা, বিপদ-আপদ দূরীকরণ এবং বিভিন্ন মানতের পূর্ণতা লাভের উদ্দেশ্য থাকে। হাজার হাজার পুণ্যার্থী এই পূজায় অংশ নিয়ে প্রার্থনা করেন।

 

প্রতিবছর দুই দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মহানন্দা নদীর দুই পাড়ে একসঙ্গে এই পূজা পালন করতেন। তবে সীমান্ত আইন কঠোর হওয়ায় এক সময় দুই দেশের মানুষের মিলিত পূজা আয়োজন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সীমান্তের পাশে বিজিবির নিরাপত্তায়, দুই দেশের হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ আবারও একত্রিত হয়ে এই উৎসব পালন করতে শুরু করেছেন।

ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তকে আলাদা করেছে মহানন্দা নদী, কিন্তু এই নদীর তীরে দুটি দেশের মানুষ মিলিত হয়ে আনন্দ-উৎসব উপভোগ করেন। বর্তমানে বিজিবির নিরাপত্তায়, দুই দেশের হরিজনরা পূজার আয়োজন করছেন, যা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক দৃষ্টান্ত।

 

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল জিয়াউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, এটি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি বড় উদাহরণ। এখানে দুই দেশের হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয়ে পূজা করছেন। বিজিবি তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে এবং তাদের সহায়তা প্রদান করছে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

তেঁতুলিয়ায় হরিজন সম্প্রদায়ের ছট পূজা উদযাপিত

আপলোড সময় : ০৩:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

চপঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত নদী মহানন্দা নদীর দুই পাড়ে হরিজন সম্প্রদায়ের সদস্যরা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় ছট পূজা পালন করছেন।

 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের ঈদগাঁহবস্তী এলাকার মহানন্দা নদীর তীরে এই পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পূজার শেষ দিন সূর্যোদয়ের সময় স্নান, পূজা-অর্চনা এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।

 

ছট পূজায় মূলত তিন দিন উপবাস থেকে সূর্য নারায়ণের পূজা করা হয়। এ পূজার মাধ্যমে মনোবাসনা পূর্ণ করা, বিপদ-আপদ দূরীকরণ এবং বিভিন্ন মানতের পূর্ণতা লাভের উদ্দেশ্য থাকে। হাজার হাজার পুণ্যার্থী এই পূজায় অংশ নিয়ে প্রার্থনা করেন।

 

প্রতিবছর দুই দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মহানন্দা নদীর দুই পাড়ে একসঙ্গে এই পূজা পালন করতেন। তবে সীমান্ত আইন কঠোর হওয়ায় এক সময় দুই দেশের মানুষের মিলিত পূজা আয়োজন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সীমান্তের পাশে বিজিবির নিরাপত্তায়, দুই দেশের হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ আবারও একত্রিত হয়ে এই উৎসব পালন করতে শুরু করেছেন।

ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তকে আলাদা করেছে মহানন্দা নদী, কিন্তু এই নদীর তীরে দুটি দেশের মানুষ মিলিত হয়ে আনন্দ-উৎসব উপভোগ করেন। বর্তমানে বিজিবির নিরাপত্তায়, দুই দেশের হরিজনরা পূজার আয়োজন করছেন, যা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক দৃষ্টান্ত।

 

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল জিয়াউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, এটি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি বড় উদাহরণ। এখানে দুই দেশের হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয়ে পূজা করছেন। বিজিবি তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে এবং তাদের সহায়তা প্রদান করছে।