
স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা যার যার নিজের ব্যাপার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার তো সবার বাড়ি-ঘর পরিষ্কার করে দিয়ে আসতে পারবে না। নিজেকেই সচেতন করতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে।
সোমবার (১০ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ৭৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যালামনাই ট্রাস্ট কলেজের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা বেশি দরকার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কারও ঘরবাড়িতে মশা যেন না থাকে, সেদিকে বেশি দৃষ্টি দিতে হবে। আমাদের দেশে একটা সমস্যা হচ্ছে—যা কিছু দোষ সব সরকারের। মশা কামড় দিলেও সেটা সরকারের দোষ, এখন কত মশা মারবে! মশার তো প্রজননের হার অনেক বেশি। সেই প্রজনন যাতে না হয় সেজন্য নিজের বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তরের মেয়র সাহেব বললেন— এত বড়লোক বিশাল বিশাল ফ্ল্যাটে থাকে, তাদের বাড়ির ভেতরে মশার প্রজননক্ষেত্র তৈরি হয়ে আছে। সেটা তারা পরিষ্কার করবেন না, সরকারকে বোধহয় পরিষ্কার করে দিয়ে আসতে হবে। বাড়ি তাদের, জায়গা তাদের, মেন্টেনেন্সের জন্য একটা সার্ভিস চার্জ দিচ্ছে। কিন্তু তারা সেটা সাফ করবেন না, কে করে দেবে? সরকার যেয়ে করে দেবে? সরকার তো সবার ঘরবাড়িতে যেয়ে যেয়ে সাফ করে দিয়ে আসতে পারবে না। স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা যার যার নিজের ব্যাপার।
ঢামেকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গবেষণায় মনোযোগ দিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণার খুব অভাব, হাতেগোনা কয়েকজন গবেষণা করেন। চিকিৎসকদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা একটু গবেষণার দিকে মনোযোগ দেন। গবেষণার জন্য যত টাকা লাগে আমরা দেব, তারপরও আপনাদের প্রতি অনুরোধ গবেষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকদের ঘরে বসে না থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অনুসরণ করা উচিত। তারা কীভাবে কাজ করে তা দেখেও অনেক কিছু শেখার আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ঢামেক থেকে যাতে ৪ হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে পারে, সে রকম একটি প্ল্যান আমি হাতে নিয়েছি। আমরা সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি, যার মাধ্যমে মানুষ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারছে।

‘ভোটকেন্দ্রে থাকবে বডি ক্যামেরা ও সিসিটিভি, উড়বে ড্রোন’
হান্ডিয়াল নিউজ ডেস্কঃ 








