ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

টিউলিপের পদত্যাগে তোপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের পর নতুন করে তোপের মুখে পড়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার।

 

সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে এক লেবার এমপি বলেছেন, টিউলিপকে মন্ত্রী বানানোর সিদ্ধান্ত ছিল আত্মঘাতী গোল। সবাই জানত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। যাদের অনেক ক্ষমতা ও অর্থ আছে। তাকে এই দায়িত্ব দিয়ে এতসব কিছু করার বিষয়টি কী ভালো ছিল?

 

এদিকে লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে টিউলিপ সিদ্দিকের, যেটির মূল্য ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৯৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা)। গত ৩ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, ২ শয্যাকক্ষের সেই ফ্ল্যাটটি ২০০৪ সালে টিউলিপকে উপহার দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের এক ডেভেলপার।

 

মোতালিফ বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী এবং টিউলিপের খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। এই ফ্ল্যাটের তথ্য সামনে আসার পর ব্যাপক চাপের মুখে পড়েন টিউলিপ। এরপর বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এসবের পর তার মন্ত্রিত্ব নড়েবড়ে হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে সরে যেতে হয়েছে তাকে।

 

গত বছর যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে জয় পায় লেবার পার্টি। এরপর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন কেয়ার স্টারমার। তিনি নতুন সরকারে যে মন্ত্রিসভা গঠন করেন সেখানে টিউলিপ সিদ্দিককে সিটি মিনিস্টারের দায়িত্ব দেন। তার কাজ ছিল দেশটির আর্থিক বিষয়াবলীতে সম্ভাব্য দুর্নীতি প্রতিরোধ করা। তবে যে দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছিল, সেই দুর্নীতির অভিযোগের মুখে বাধ্য হয়ে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে তাকে। টিউলিপ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের খুব কাছের বন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

 

উল্লেখ্য, ৪২ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক লেবার পার্টির সদস্য হন মাত্র ১৬ বছর বয়সে। ২০১৫ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড আসন থেকে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হন। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ওই আসনে চার বার প্রার্থী হয়েছেন টিউলিপ, প্রতিবারই জয়ী হয়েছেন।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

টিউলিপের পদত্যাগে তোপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

আপলোড সময় : ০৮:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের পর নতুন করে তোপের মুখে পড়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার।

 

সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে এক লেবার এমপি বলেছেন, টিউলিপকে মন্ত্রী বানানোর সিদ্ধান্ত ছিল আত্মঘাতী গোল। সবাই জানত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। যাদের অনেক ক্ষমতা ও অর্থ আছে। তাকে এই দায়িত্ব দিয়ে এতসব কিছু করার বিষয়টি কী ভালো ছিল?

 

এদিকে লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে টিউলিপ সিদ্দিকের, যেটির মূল্য ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৯৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা)। গত ৩ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, ২ শয্যাকক্ষের সেই ফ্ল্যাটটি ২০০৪ সালে টিউলিপকে উপহার দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের এক ডেভেলপার।

 

মোতালিফ বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী এবং টিউলিপের খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। এই ফ্ল্যাটের তথ্য সামনে আসার পর ব্যাপক চাপের মুখে পড়েন টিউলিপ। এরপর বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এসবের পর তার মন্ত্রিত্ব নড়েবড়ে হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে সরে যেতে হয়েছে তাকে।

 

গত বছর যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে জয় পায় লেবার পার্টি। এরপর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন কেয়ার স্টারমার। তিনি নতুন সরকারে যে মন্ত্রিসভা গঠন করেন সেখানে টিউলিপ সিদ্দিককে সিটি মিনিস্টারের দায়িত্ব দেন। তার কাজ ছিল দেশটির আর্থিক বিষয়াবলীতে সম্ভাব্য দুর্নীতি প্রতিরোধ করা। তবে যে দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছিল, সেই দুর্নীতির অভিযোগের মুখে বাধ্য হয়ে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে তাকে। টিউলিপ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের খুব কাছের বন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

 

উল্লেখ্য, ৪২ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক লেবার পার্টির সদস্য হন মাত্র ১৬ বছর বয়সে। ২০১৫ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড আসন থেকে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হন। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ওই আসনে চার বার প্রার্থী হয়েছেন টিউলিপ, প্রতিবারই জয়ী হয়েছেন।