
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বড়গারফা গ্রামের সাত বছরের শিশু কন্যা জুঁই কে হত্যা করে চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রামপুর এলাকার একটি ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। সেই লাশ ১৫ এপ্রিল উদ্ধার করে চাটমোহর থানা পুলিশ। পরে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগে চাটমোহর ও বড়াইগ্রামের পাঁচজন কিশোর কে আটক করে বড়ইগ্রাম থানা পুলিশ ও নাটোর জেলা ডিবির একটি দল। ১৯ শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বড়াইগ্রাম থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে পাঁচ কিশোরকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। গ্রেফতাররা সবার বয়স ১২-১৪ বছর হওয়ায় তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা তদন্তের স্বার্থে এখনই বলতে রাজি হয়নি আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
গত সোমবার পহেলা বৈশাখের দিন বিকেলে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা গ্রামের শিশু জুঁই দাদীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু পরে স্বজনরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন জুঁই ওখানে যায়নি। এরপর চারদিকে খোঁজা খোঁজির এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সকালে পার্শ্ববর্তী পাবনার চাটমোহরের রামপুর বিলের একটি ভুট্ট ক্ষেতে জুঁইয়ের মরদেহ পাওয়া যায়। ঐ দিন রাতে জুঁইয়ের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে শনিবার ৫ কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতাররা শিশু জুঁই হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছে বলে জানা গেছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।