ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
জরুরি সংবাদকর্মী আবশ্যক। সবাইকে হান্ডিয়াল নিউজ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

গ্রিসে সান্তোরিনি দ্বীপ দেখতে আসলে অসাধারণ

সান্তোরিনি দ্বীপ

গ্রিসে সান্তোরিনি দ্বীপের ছবি অনেকে নিশ্চয় ইনস্টাগ্রামে দেখেছেন। প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি পর্যটক সেখানে যান। কিন্তু দ্বীপটি ছবিতে দেখতে যেমন লাগে, বাস্তবেও কি সেটি তেমন সুন্দর।

দ্বীপটিতে আছে নীল রংয়ের সুন্দর গম্বুজওয়ালা গির্জা, দারুণ লাল সৈকত আর সুন্দর সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ। আর আছে দেখতে দারুণ সাদা ভবন। দ্বীপটি ছবির মতোই সুন্দর কিনা তা জানতে আমরা তিনটি জায়গা বেছে নিয়েছি। এর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে দ্বীপের রাজধানী ফিরা। সেখানেই বেশিরভাগ পর্যটক থাকেন। দ্বীপের যাবতীয় সবকিছু সেখানে ঘটে থাকে।

সাগর সৈকত থেকে দুই-তিনশো মিটার উঁচুতে অবস্থিত। সেখানকার ভবনগুলো দেখলে মনে হয় যেন সেগুলো কয়েক শতক আগে তৈরি হওয়া আগ্নেয়গিরির গর্ত থেকে ঝুলে আছে। শহরের উপরের অংশে গেলে আপনি বিখ্যাত তিন বেলের ফিরোস্টেফানি গির্জা পাবেন। সারা বিশ্ব থেকে মানুষ সেখানে যান। সান্তোরিনি গেলে ফিরা না দেখে ফেরা সম্ভব নয়, তবে সেরা ছবি তোলার জন্য লাইনে অপেক্ষা করার প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে। বা ক্রুজ জাহাজের যাত্রীদের দ্বীপে নামার আগে অনেক সকালে স্পটগুলোতে যেতে হবে।

আমাদের পরের গন্তব্য দ্বীপের দক্ষিণে অবস্থিত জনপ্রিয় লাল সৈকত। অসাধারণ লাল রংয়ের চূড়ার কারণে এটিই সম্ভবত দ্বীপটির সবচেয়ে বিখ্যাত ও সুন্দর সৈকত। দ্বীপটিতে আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের জন্য অনেক রংয়ের বালু দেখা যায়। তবে আসলে বিপজ্জনক হওয়ায় এই সৈকতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। প্রায়ই সেখানে ভূমিধ্বস হয়ে থাকে। এছাড়া চূড়া থেকে পাথর পরে প্রায়ই পর্যটকেরা আহত হন। তবে অনেকে এই নিষেধাজ্ঞা মানেন না।

আমাদের পরামর্শ, ঝুঁকি না নিয়ে দূরের এক পয়েন্ট থেকে ছবি তুলুন। এছাড়া নৌকা বা কায়াকে করেও সেখানে যেতে পারেন- যা নিরাপদ। সামাজিক মাধ্যমে লাল সৈকতের যেমন ছবি দেখা যায়, বাস্তবেও কি সেটি তেমন সুন্দর।

দেখতে আসলেই অসাধারণ- বিশেষ করে দূর থেকে! তবে মনে রাখবেন, সেখানে থাকাটা ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের শেষ গন্তব্য জেলেদের গ্রাম ঐয়া- দ্বীপের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনস্টাগ্রাম স্পট এটি- সম্ভবত ইউরোপেও। নীল গম্বুজের গির্জা ও সাদা ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এমন ছবি আপনি নিশ্চয় দেখেছেন। ইনস্টাগ্রামের কারণে গত এক দশকে গ্রামটিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ছবি তোলার সবচেয়ে জনপ্রিয় স্পট অ্যানাস্টাসি চার্চ ও চার্চ অফ প্যানা-ইয়া প্লাটসানি।

 

তবে সাবধান, অনেক ভিড়। ভরা মৌসুমে আপনাকে হয়ত সেখানে ছবি তুলতে লাইনে অপেক্ষা করতে হতে পারে। আর আছে ঐয়ার বিখ্যাত সূর্যাস্ত। প্রতিদিন শত শত মানুষ সেখানকার সূর্যাস্ত দেখতে ভিড় করেন। তবে ভরা মৌসুমে আসলে আপনি মানুষের ভিড়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠতে পারেন।

জায়গাটি ইনস্টাগ্রামে দেখা ছবির মতোই সুন্দর। হ্যাঁ, আবার, না… যদিও বাস্তবে দেখতে এটি অনেক সুন্দর, কিন্তু আপনি ছবিতে যা দেখতে পান না তা হলো, সূর্যাস্তের সময় গ্রামের ছোট রাস্তায় মানুষের ভিড়।

তাই আপনি যদি সুন্দর ছবি তুলতে চান তবে মনে রাখবেন ফ্রেমে আপনি যা দেখছেন তার চেয়েও বেশি কিছু আপনার চারপাশে ঘটছে।

শেষ কথা সান্তোরিনি একটি সুন্দর দ্বীপ, কিন্তু মূল আকর্ষণগুলো দেখতে চাইলে অফ-সিজনে যাওয়া ভালো, নয়ত ভিড় ঠেলার প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে।

 

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

গ্রিসে সান্তোরিনি দ্বীপ দেখতে আসলে অসাধারণ

আপলোড সময় : ০৪:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

গ্রিসে সান্তোরিনি দ্বীপের ছবি অনেকে নিশ্চয় ইনস্টাগ্রামে দেখেছেন। প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি পর্যটক সেখানে যান। কিন্তু দ্বীপটি ছবিতে দেখতে যেমন লাগে, বাস্তবেও কি সেটি তেমন সুন্দর।

দ্বীপটিতে আছে নীল রংয়ের সুন্দর গম্বুজওয়ালা গির্জা, দারুণ লাল সৈকত আর সুন্দর সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ। আর আছে দেখতে দারুণ সাদা ভবন। দ্বীপটি ছবির মতোই সুন্দর কিনা তা জানতে আমরা তিনটি জায়গা বেছে নিয়েছি। এর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে দ্বীপের রাজধানী ফিরা। সেখানেই বেশিরভাগ পর্যটক থাকেন। দ্বীপের যাবতীয় সবকিছু সেখানে ঘটে থাকে।

সাগর সৈকত থেকে দুই-তিনশো মিটার উঁচুতে অবস্থিত। সেখানকার ভবনগুলো দেখলে মনে হয় যেন সেগুলো কয়েক শতক আগে তৈরি হওয়া আগ্নেয়গিরির গর্ত থেকে ঝুলে আছে। শহরের উপরের অংশে গেলে আপনি বিখ্যাত তিন বেলের ফিরোস্টেফানি গির্জা পাবেন। সারা বিশ্ব থেকে মানুষ সেখানে যান। সান্তোরিনি গেলে ফিরা না দেখে ফেরা সম্ভব নয়, তবে সেরা ছবি তোলার জন্য লাইনে অপেক্ষা করার প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে। বা ক্রুজ জাহাজের যাত্রীদের দ্বীপে নামার আগে অনেক সকালে স্পটগুলোতে যেতে হবে।

আমাদের পরের গন্তব্য দ্বীপের দক্ষিণে অবস্থিত জনপ্রিয় লাল সৈকত। অসাধারণ লাল রংয়ের চূড়ার কারণে এটিই সম্ভবত দ্বীপটির সবচেয়ে বিখ্যাত ও সুন্দর সৈকত। দ্বীপটিতে আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের জন্য অনেক রংয়ের বালু দেখা যায়। তবে আসলে বিপজ্জনক হওয়ায় এই সৈকতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। প্রায়ই সেখানে ভূমিধ্বস হয়ে থাকে। এছাড়া চূড়া থেকে পাথর পরে প্রায়ই পর্যটকেরা আহত হন। তবে অনেকে এই নিষেধাজ্ঞা মানেন না।

আমাদের পরামর্শ, ঝুঁকি না নিয়ে দূরের এক পয়েন্ট থেকে ছবি তুলুন। এছাড়া নৌকা বা কায়াকে করেও সেখানে যেতে পারেন- যা নিরাপদ। সামাজিক মাধ্যমে লাল সৈকতের যেমন ছবি দেখা যায়, বাস্তবেও কি সেটি তেমন সুন্দর।

দেখতে আসলেই অসাধারণ- বিশেষ করে দূর থেকে! তবে মনে রাখবেন, সেখানে থাকাটা ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের শেষ গন্তব্য জেলেদের গ্রাম ঐয়া- দ্বীপের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনস্টাগ্রাম স্পট এটি- সম্ভবত ইউরোপেও। নীল গম্বুজের গির্জা ও সাদা ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এমন ছবি আপনি নিশ্চয় দেখেছেন। ইনস্টাগ্রামের কারণে গত এক দশকে গ্রামটিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ছবি তোলার সবচেয়ে জনপ্রিয় স্পট অ্যানাস্টাসি চার্চ ও চার্চ অফ প্যানা-ইয়া প্লাটসানি।

 

তবে সাবধান, অনেক ভিড়। ভরা মৌসুমে আপনাকে হয়ত সেখানে ছবি তুলতে লাইনে অপেক্ষা করতে হতে পারে। আর আছে ঐয়ার বিখ্যাত সূর্যাস্ত। প্রতিদিন শত শত মানুষ সেখানকার সূর্যাস্ত দেখতে ভিড় করেন। তবে ভরা মৌসুমে আসলে আপনি মানুষের ভিড়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠতে পারেন।

জায়গাটি ইনস্টাগ্রামে দেখা ছবির মতোই সুন্দর। হ্যাঁ, আবার, না… যদিও বাস্তবে দেখতে এটি অনেক সুন্দর, কিন্তু আপনি ছবিতে যা দেখতে পান না তা হলো, সূর্যাস্তের সময় গ্রামের ছোট রাস্তায় মানুষের ভিড়।

তাই আপনি যদি সুন্দর ছবি তুলতে চান তবে মনে রাখবেন ফ্রেমে আপনি যা দেখছেন তার চেয়েও বেশি কিছু আপনার চারপাশে ঘটছে।

শেষ কথা সান্তোরিনি একটি সুন্দর দ্বীপ, কিন্তু মূল আকর্ষণগুলো দেখতে চাইলে অফ-সিজনে যাওয়া ভালো, নয়ত ভিড় ঠেলার প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে।