ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

গ্রাম্য সালিশে বৃদ্ধকে ‘পিটিয়ে মারলেন’ ইবি শিক্ষার্থী

কুমিল্লার লালমাইয়ে জমি নিয়ে সালিশে হাবিবুর রহমান নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেলে উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের হাতিলোটা গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত হাবিবুর রহমান (৬০) উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের হাতিলোটা গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় শংকুরপাড় দিঘির নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করতেন। গ্রেপ্তার আবদুল্লাহ আল মামুন (২৩) হাতিলোটা গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে হাতিলোটা গ্রামের হাবিবুর রহমানের সঙ্গে আবদুল জলিলদের জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সোমবার সকাল ১০টায় আবদুল জলিলদের উঠোনে সালিশ বৈঠকে বসেন স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল হোসেন খোকন ও গ্রাম সর্দার সালামত উল্যাহসহ উভয়পক্ষের সালিশদাররা। বৈঠকে কথাকাটাকাটিরি একপর্যায়ে বিকেল ৩টায় আবদুল জলিলের ছেলে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন লাঠি দিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনদের পেটাতে শুরু করেন।

এ সময় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাবিবুর রহমান অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। উপস্থিত সবাই তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে হাবিবুর রহমান মারা যান।

নিহতের মেয়ে মায়া আক্তার বলেন, আবদুল জলিলরা আমাদের জমি দলিল করে নিয়ে গেছে। সেই জমি ফেরত আনতে সালিশ বৈঠক বসে। শত শত মানুষের সামনে আমার বাবাকে আবদুল্লাহ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শাকিল হোসাইন বাদী হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান আসামি আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের আটকে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

গ্রাম্য সালিশে বৃদ্ধকে ‘পিটিয়ে মারলেন’ ইবি শিক্ষার্থী

আপলোড সময় : ০৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

কুমিল্লার লালমাইয়ে জমি নিয়ে সালিশে হাবিবুর রহমান নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেলে উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের হাতিলোটা গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত হাবিবুর রহমান (৬০) উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের হাতিলোটা গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় শংকুরপাড় দিঘির নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করতেন। গ্রেপ্তার আবদুল্লাহ আল মামুন (২৩) হাতিলোটা গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে হাতিলোটা গ্রামের হাবিবুর রহমানের সঙ্গে আবদুল জলিলদের জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সোমবার সকাল ১০টায় আবদুল জলিলদের উঠোনে সালিশ বৈঠকে বসেন স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল হোসেন খোকন ও গ্রাম সর্দার সালামত উল্যাহসহ উভয়পক্ষের সালিশদাররা। বৈঠকে কথাকাটাকাটিরি একপর্যায়ে বিকেল ৩টায় আবদুল জলিলের ছেলে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন লাঠি দিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনদের পেটাতে শুরু করেন।

এ সময় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাবিবুর রহমান অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। উপস্থিত সবাই তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে হাবিবুর রহমান মারা যান।

নিহতের মেয়ে মায়া আক্তার বলেন, আবদুল জলিলরা আমাদের জমি দলিল করে নিয়ে গেছে। সেই জমি ফেরত আনতে সালিশ বৈঠক বসে। শত শত মানুষের সামনে আমার বাবাকে আবদুল্লাহ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শাকিল হোসাইন বাদী হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান আসামি আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের আটকে পুলিশ তৎপর রয়েছে।