ঢাকা , শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে দফায় দফায় দাম বাড়ছে কাঁচা মরিচের। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, আড়তে কয়েকদিন আগে খুচরা বাজারে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রি হতো। এখন পাইকারি বাজারে ১৫৫ টাকা এবং খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২০ জুন) উপজেলা সদর ও বিভিন্ন হাট-বাজারে খুচরা ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা কেজি প্রতি বেড়েছে কয়েকগুণ।

উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে দেখা যায়, হু হু করে বেড়েই চলেছে কাঁচা মরিচের দাম। উপজেলার হাটবাজার থেকে বেশ কয়েকটি এলাকায় মরিচ সরবরাহ করেন ব্যবসায়ীরা। উপজেলা সদরের মরিচ হাটে মঙ্গলবার দুপুরে কাঁচামরিচের মণ সাড়ে ছয় হাজার টাকায়ও কেনেন ব্যবসায়ীরা। দুই দিন আগেও যার মন ছিল ৪৭০০ থেকে ৫২০০ টাকা। পাইকারি বাজারেও বেড়েছে মরিচের দাম। কৃষকের হাত থেকে আড়ৎদারদের হাত ঘুরে খুচরা বাজারে এখন ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বোয়ালমারী পৌর সদরের তুহিন খান বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে আড়ৎে নিয়ে আড়াই মন কাচা মরিচ বিক্রি করেছি ৬ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে।

বোয়ালমারী বাজারের কাচামাল ব্যাবসায়ী আলমগীর মোল্লা বলেন, ‘খুচরা বাজারে ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি।’

বোয়ালমারী উপজেলার ছোলনা গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত সপ্তাহে ১৫০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনলেও মঙ্গলবার ২০০ টাকা করে কাচা মরিচ কিনলাম।’

এ ব্যাপারে মরিচ বাজারের আড়তদার মো. আলম বলেন, ‘কয়েকদিন ধরেই দফায় দফায় কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৬ হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার তিনশ টাকা পর্যন্ত পাইকারি দরে কৃষকদের কাছ থেকে কাঁচা মরিচ কিনতে হয়েছে। খুচরা বাজারে ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দরে কেজি প্রতি কাচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে।’

এ বিষয়ে ফরিদপুরের কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘ফরিদপুর জেলায় এবার তিন হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে মধুখালী উপজেলায় মরিচের চাষ বেশী হয়। ক্রেতাদের কাছে বাড়তি মনে হচ্ছে। মধুখালীতে মরিচের সিজন শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং বর্ষা মৌসুমে দাম একটু বেশি হলেও কৃষক তাদের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা

আপলোড সময় : ০৭:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে দফায় দফায় দাম বাড়ছে কাঁচা মরিচের। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, আড়তে কয়েকদিন আগে খুচরা বাজারে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রি হতো। এখন পাইকারি বাজারে ১৫৫ টাকা এবং খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২০ জুন) উপজেলা সদর ও বিভিন্ন হাট-বাজারে খুচরা ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা কেজি প্রতি বেড়েছে কয়েকগুণ।

উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে দেখা যায়, হু হু করে বেড়েই চলেছে কাঁচা মরিচের দাম। উপজেলার হাটবাজার থেকে বেশ কয়েকটি এলাকায় মরিচ সরবরাহ করেন ব্যবসায়ীরা। উপজেলা সদরের মরিচ হাটে মঙ্গলবার দুপুরে কাঁচামরিচের মণ সাড়ে ছয় হাজার টাকায়ও কেনেন ব্যবসায়ীরা। দুই দিন আগেও যার মন ছিল ৪৭০০ থেকে ৫২০০ টাকা। পাইকারি বাজারেও বেড়েছে মরিচের দাম। কৃষকের হাত থেকে আড়ৎদারদের হাত ঘুরে খুচরা বাজারে এখন ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বোয়ালমারী পৌর সদরের তুহিন খান বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে আড়ৎে নিয়ে আড়াই মন কাচা মরিচ বিক্রি করেছি ৬ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে।

বোয়ালমারী বাজারের কাচামাল ব্যাবসায়ী আলমগীর মোল্লা বলেন, ‘খুচরা বাজারে ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি।’

বোয়ালমারী উপজেলার ছোলনা গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত সপ্তাহে ১৫০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনলেও মঙ্গলবার ২০০ টাকা করে কাচা মরিচ কিনলাম।’

এ ব্যাপারে মরিচ বাজারের আড়তদার মো. আলম বলেন, ‘কয়েকদিন ধরেই দফায় দফায় কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৬ হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার তিনশ টাকা পর্যন্ত পাইকারি দরে কৃষকদের কাছ থেকে কাঁচা মরিচ কিনতে হয়েছে। খুচরা বাজারে ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দরে কেজি প্রতি কাচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে।’

এ বিষয়ে ফরিদপুরের কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘ফরিদপুর জেলায় এবার তিন হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে মধুখালী উপজেলায় মরিচের চাষ বেশী হয়। ক্রেতাদের কাছে বাড়তি মনে হচ্ছে। মধুখালীতে মরিচের সিজন শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং বর্ষা মৌসুমে দাম একটু বেশি হলেও কৃষক তাদের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে।