ঢাকা , বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে

কী যেন বলতে চায় এই ফাল্গুনের বিষণ গোলাপ, বসন্তের প্রথম কোকিল…। কান পেতে রাখুন। কে যেন, কি যেন বলতে চায়! আপনি নিজেও কি চান কিছু বলতে? এখনই সময়। ‘আজি দখিন-দুয়ার খোলা-/এসো হে, এসো হে, এসো হে আমার বসন্ত এসো…। হ্যাঁ, বসন্ত এসে গেছে। ফাগুনের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে এসেছে ঋতুরাজ। আজ বুধবার ১ ফাল্গুন ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। বসন্তের প্রথম দিন। প্রতিবারের মতোই রাঙিয়ে দিতে এসেছে ফাগুন। শূন্য হৃদয় ভরিয়ে দিতে এসেছে। মনের গহীন কোণে অতি সূক্ষ্ম যে পুলক, সে তো কেবল বসন্তই জাগাতে পারে! এই বসন্ত কুসুম কোমল প্রেমের। কাছে আসার। প্রিয়জনের স্পর্শ নিয়ে বাঁচার সুখ বসন্ত। কবিগুরুর ভাষায়: আমার প্রাণের ‘পরে চলে গেল কে/বসন্তের বাতাসটুকুর মতো…। লাগলো কি প্রাণে সেই বাতাস? বসন্তের বাতাসটুকু প্রাণেই লাগে বেশি! টের পাওয়া যাচ্ছে? চেনা যাচ্ছে হাওয়াটা? না চিনলেও ক্ষতি নেই। কবিগুরু বলছেন, যদি তারে নাই চিনি গো সে কি আমায় নেবে চিনে/এই নব ফাল্গুনের দিনে…। সেই বুক ধুঁকপুক, সেই শিহরণ জাগানিয়া ফাগুন এসেছে। এ সংক্রান্ত একটি স্বীকারোক্তিও আছে, যেখানে কবিগুরু বলছেন, ‘ফুলের বনে যার পাশে যাই তারেই লাগে ভাল। হ্যাঁ, বসন্ত এমনই। সারাবছর বলতে না পারা মনের গোপন কথাটিও ফাগুনের প্রথম দিনে প্রিয়জনকে বলে দেয়া যায়। অনেকেই ‘ভালবাসি’ বলার জন্য বিশেষ এই দিবসটিকে বেছে নেন। ভাললাগা ভালবাসার সৌরভ ছড়ানো ছাড়াও মিলনের বার্তা দেয় বসন্ত। এমন লগ্নে প্রিয়জনের কাছে দেহ-মন সঁপে দিতে যেন বাধা নেই কোন। ভীরু প্রাণে কেবলই বাজে মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে/ মধুর মলয়সমীরে মধুর মিলন রটাতে। লোকজ সুরেও প্রতিধ্বনি হয় অভিন্ন বাসনা। আব্বাস উদ্দীনের কালজয়ী কণ্ঠ শোনায়, ‘সুখ বসন্ত দিলরে দেখা, আর তো যৈবন যায় না রাখা গো…।লোক কবি শাহ আব্দুল করিম গেয়েছিলেন, ‘বসন্ত বাতাসে সই গো/বসন্ত বাতাসে/বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে…। আসছে কি সেই ঘ্রাণ? একই চেতনা থেকে কবি মহাদেবসাহা লিখেছিলেন: ‘তোমার সঙ্গে প্রতিটি কথাই কবিতা, প্রতিটি গোপন কটাক্ষই অনিঃশেষ বসন্তকাল।এভাবে বসন্ত আর ভালবাসা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। বসন্তের আগমনে উচাটন হয়ে ওঠে মন। পুরনো বেদনা, হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি ভালবেসে এর পেছনে আবারও ছুটতে প্ররোচনা দেয়। পাখিরাও প্রণয়ী খোঁজে এ সময়। ঘর বাঁধে। মৌমাছিরা মধুর খোঁজে হন্যে হয়। এক ফুল থেকে ছোটে অন্য ফুলে। এমন ঋতু শুরুর দিনটি তাই যারপর নাই বিশেষ। আজ সর্বত্রই বসন্ত বরণ উৎসবের আয়োজন করা হবে। প্রিয় ঋতুকে বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় বরণ করে নেবে বাঙালী। রাজধানী ঢাকার অলিগলি রাজপথে ভিড় বাড়বে। রঙিন হয়ে উঠবে চারপাশ। সকাল হতেই বাসন্তি রং শাড়ি পরে বেরিয়ে পড়বে তরুণীরা। ছোট্ট মেয়েটিও খোঁপায় জড়িয়ে নেবে গাঁদা ফুল। বড়দের মতো শাড়ি পরে গন্তব্যহীন হেঁটে যাবে। ছেলেরা পরবে পাঞ্জাবি। দল বেঁধে ঘুরে বেড়াবে। মানুষের ঢল নামবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, চারুকলার বকুলতলাসহ আশপাশের এলাকায়। বসন্তের ঢেউ আছড়ে পড়বে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। বইয়ের মেলা হয়ে উঠবে ফাগুনেরও। রমনা পার্ক, চন্দ্রিমা উদ্যানের সবুজের সঙ্গে আজ হলুদ রংটি মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, রেস্তরাঁ সবখানে পরিলক্ষিত হবে উৎসবের রং। উচ্ছ্বল ছোটাছুটি। আর যারা বসন্তেও বাঁধে না ঘর, বাঁধতে পারে না যারা, তাদের বেদনা গাঢ় হয়। কবিগুরু তাই লেখেন, ‘মর্মরিয়া ওঠে আমার দুঃখ রাতের গান/ফাগুন, হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান…।অন্যত্র তিনি লেখেন, ‘অতি নিবিড় বেদনা বনমাঝে রে/আজি পল্লবে পল্লবে বাজে রে-/দূরে গগনে কাহার পথ চাহিয়া/আজি ব্যাকুল বসুন্ধরা সাজে রে…।ষড়ঋতুর বাংলাদেশ প্রতি দুই মাস অন্তর রূপ পরিবর্তন করে। শুরু হয় গ্রীষ্ম দিয়ে। বসন্ত দিয়ে শেষ। বিপুল ঐশ্বর্যের অধিকারী এই বসন্ত। এখন বনে যেমন, মনেও এর আশ্চর্য দোলা। এরই মাঝে রূপ লাবণ্যে জেগে উঠেছে প্রকৃতি। বৃক্ষের নবীন পাতায় আলোর নাচন। ফুলে ফুলে বাগান ভরে উঠেছে। চোখ খুললেই গোলাপ জবা পলাশ পারিজাতের হাসি। মৌমাছির গুঞ্জন। কোকিলের কুহুতান। সব, সবই বসন্তকে আবাহন করছে। জানিয়ে দিচ্ছে আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। ফাগুনের এই ক্ষণে বিবর্ণ প্রকৃতি জেগে উঠেছে নতুন করে। বাগানে বাগানে ফুটেছে কুসুম। শিমুল, কাঞ্চন, মাধবী, কৃষ্ণচূড়ায় সেজেছে বন। কবিগুরু সেই বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছেন, ‘ওরে ভাই, ফাগুন এসেছে বনে বনে/ডালে ডালে ফুলে ফলে পাতায় পাতায় রে,/আড়ালে আড়ালে কোণে কোণে…।শুধু পাতা আর ফুলেরা কেন? আপন মনে গাইছে পাখি। কত কত গান! কবিগুরুর বর্ণনার সঙ্গে মিলিয়ে বললে আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে,/এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়…। অথবাÑ বসন্ত এসেছে বনে, ফুল ওঠে ফুটি,/ দিনরাত্রি গাহে পিক, নাহি তার ছুটি …। বনের মতোই অনাদিকাল ধরে বাঙালীর মন রাঙিয়ে দিয়ে যাচ্ছে বসন্ত। সেই বর্ণনা দিতে গিয়ে উচ্ছ্বসিত কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় অন্য সব অনুষঙ্গ ভুলে যান। অদ্ভুত সুন্দর তার বলাটিফুল ফুটুক না ফুটুক/ আজ বসন্ত…। প্রতি বছরের মতো আজও রাজধানীতে আয়োজন করা হবে বসন্ত উৎসবের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় সকালে শুরু হবে অনুষ্ঠানমালা। চলবে রাত পর্যন্ত। ধানম-ির রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চ, পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ্ পার্ক এবং উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র সরণির উন্মুক্ত মঞ্চে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হবে। এছাড়াও বর্ণাঢ্য বসন্ত শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে

আপলোড সময় : ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কী যেন বলতে চায় এই ফাল্গুনের বিষণ গোলাপ, বসন্তের প্রথম কোকিল…। কান পেতে রাখুন। কে যেন, কি যেন বলতে চায়! আপনি নিজেও কি চান কিছু বলতে? এখনই সময়। ‘আজি দখিন-দুয়ার খোলা-/এসো হে, এসো হে, এসো হে আমার বসন্ত এসো…। হ্যাঁ, বসন্ত এসে গেছে। ফাগুনের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে এসেছে ঋতুরাজ। আজ বুধবার ১ ফাল্গুন ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। বসন্তের প্রথম দিন। প্রতিবারের মতোই রাঙিয়ে দিতে এসেছে ফাগুন। শূন্য হৃদয় ভরিয়ে দিতে এসেছে। মনের গহীন কোণে অতি সূক্ষ্ম যে পুলক, সে তো কেবল বসন্তই জাগাতে পারে! এই বসন্ত কুসুম কোমল প্রেমের। কাছে আসার। প্রিয়জনের স্পর্শ নিয়ে বাঁচার সুখ বসন্ত। কবিগুরুর ভাষায়: আমার প্রাণের ‘পরে চলে গেল কে/বসন্তের বাতাসটুকুর মতো…। লাগলো কি প্রাণে সেই বাতাস? বসন্তের বাতাসটুকু প্রাণেই লাগে বেশি! টের পাওয়া যাচ্ছে? চেনা যাচ্ছে হাওয়াটা? না চিনলেও ক্ষতি নেই। কবিগুরু বলছেন, যদি তারে নাই চিনি গো সে কি আমায় নেবে চিনে/এই নব ফাল্গুনের দিনে…। সেই বুক ধুঁকপুক, সেই শিহরণ জাগানিয়া ফাগুন এসেছে। এ সংক্রান্ত একটি স্বীকারোক্তিও আছে, যেখানে কবিগুরু বলছেন, ‘ফুলের বনে যার পাশে যাই তারেই লাগে ভাল। হ্যাঁ, বসন্ত এমনই। সারাবছর বলতে না পারা মনের গোপন কথাটিও ফাগুনের প্রথম দিনে প্রিয়জনকে বলে দেয়া যায়। অনেকেই ‘ভালবাসি’ বলার জন্য বিশেষ এই দিবসটিকে বেছে নেন। ভাললাগা ভালবাসার সৌরভ ছড়ানো ছাড়াও মিলনের বার্তা দেয় বসন্ত। এমন লগ্নে প্রিয়জনের কাছে দেহ-মন সঁপে দিতে যেন বাধা নেই কোন। ভীরু প্রাণে কেবলই বাজে মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে/ মধুর মলয়সমীরে মধুর মিলন রটাতে। লোকজ সুরেও প্রতিধ্বনি হয় অভিন্ন বাসনা। আব্বাস উদ্দীনের কালজয়ী কণ্ঠ শোনায়, ‘সুখ বসন্ত দিলরে দেখা, আর তো যৈবন যায় না রাখা গো…।লোক কবি শাহ আব্দুল করিম গেয়েছিলেন, ‘বসন্ত বাতাসে সই গো/বসন্ত বাতাসে/বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে…। আসছে কি সেই ঘ্রাণ? একই চেতনা থেকে কবি মহাদেবসাহা লিখেছিলেন: ‘তোমার সঙ্গে প্রতিটি কথাই কবিতা, প্রতিটি গোপন কটাক্ষই অনিঃশেষ বসন্তকাল।এভাবে বসন্ত আর ভালবাসা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। বসন্তের আগমনে উচাটন হয়ে ওঠে মন। পুরনো বেদনা, হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি ভালবেসে এর পেছনে আবারও ছুটতে প্ররোচনা দেয়। পাখিরাও প্রণয়ী খোঁজে এ সময়। ঘর বাঁধে। মৌমাছিরা মধুর খোঁজে হন্যে হয়। এক ফুল থেকে ছোটে অন্য ফুলে। এমন ঋতু শুরুর দিনটি তাই যারপর নাই বিশেষ। আজ সর্বত্রই বসন্ত বরণ উৎসবের আয়োজন করা হবে। প্রিয় ঋতুকে বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় বরণ করে নেবে বাঙালী। রাজধানী ঢাকার অলিগলি রাজপথে ভিড় বাড়বে। রঙিন হয়ে উঠবে চারপাশ। সকাল হতেই বাসন্তি রং শাড়ি পরে বেরিয়ে পড়বে তরুণীরা। ছোট্ট মেয়েটিও খোঁপায় জড়িয়ে নেবে গাঁদা ফুল। বড়দের মতো শাড়ি পরে গন্তব্যহীন হেঁটে যাবে। ছেলেরা পরবে পাঞ্জাবি। দল বেঁধে ঘুরে বেড়াবে। মানুষের ঢল নামবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, চারুকলার বকুলতলাসহ আশপাশের এলাকায়। বসন্তের ঢেউ আছড়ে পড়বে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। বইয়ের মেলা হয়ে উঠবে ফাগুনেরও। রমনা পার্ক, চন্দ্রিমা উদ্যানের সবুজের সঙ্গে আজ হলুদ রংটি মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, রেস্তরাঁ সবখানে পরিলক্ষিত হবে উৎসবের রং। উচ্ছ্বল ছোটাছুটি। আর যারা বসন্তেও বাঁধে না ঘর, বাঁধতে পারে না যারা, তাদের বেদনা গাঢ় হয়। কবিগুরু তাই লেখেন, ‘মর্মরিয়া ওঠে আমার দুঃখ রাতের গান/ফাগুন, হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান…।অন্যত্র তিনি লেখেন, ‘অতি নিবিড় বেদনা বনমাঝে রে/আজি পল্লবে পল্লবে বাজে রে-/দূরে গগনে কাহার পথ চাহিয়া/আজি ব্যাকুল বসুন্ধরা সাজে রে…।ষড়ঋতুর বাংলাদেশ প্রতি দুই মাস অন্তর রূপ পরিবর্তন করে। শুরু হয় গ্রীষ্ম দিয়ে। বসন্ত দিয়ে শেষ। বিপুল ঐশ্বর্যের অধিকারী এই বসন্ত। এখন বনে যেমন, মনেও এর আশ্চর্য দোলা। এরই মাঝে রূপ লাবণ্যে জেগে উঠেছে প্রকৃতি। বৃক্ষের নবীন পাতায় আলোর নাচন। ফুলে ফুলে বাগান ভরে উঠেছে। চোখ খুললেই গোলাপ জবা পলাশ পারিজাতের হাসি। মৌমাছির গুঞ্জন। কোকিলের কুহুতান। সব, সবই বসন্তকে আবাহন করছে। জানিয়ে দিচ্ছে আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। ফাগুনের এই ক্ষণে বিবর্ণ প্রকৃতি জেগে উঠেছে নতুন করে। বাগানে বাগানে ফুটেছে কুসুম। শিমুল, কাঞ্চন, মাধবী, কৃষ্ণচূড়ায় সেজেছে বন। কবিগুরু সেই বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছেন, ‘ওরে ভাই, ফাগুন এসেছে বনে বনে/ডালে ডালে ফুলে ফলে পাতায় পাতায় রে,/আড়ালে আড়ালে কোণে কোণে…।শুধু পাতা আর ফুলেরা কেন? আপন মনে গাইছে পাখি। কত কত গান! কবিগুরুর বর্ণনার সঙ্গে মিলিয়ে বললে আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে,/এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়…। অথবাÑ বসন্ত এসেছে বনে, ফুল ওঠে ফুটি,/ দিনরাত্রি গাহে পিক, নাহি তার ছুটি …। বনের মতোই অনাদিকাল ধরে বাঙালীর মন রাঙিয়ে দিয়ে যাচ্ছে বসন্ত। সেই বর্ণনা দিতে গিয়ে উচ্ছ্বসিত কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় অন্য সব অনুষঙ্গ ভুলে যান। অদ্ভুত সুন্দর তার বলাটিফুল ফুটুক না ফুটুক/ আজ বসন্ত…। প্রতি বছরের মতো আজও রাজধানীতে আয়োজন করা হবে বসন্ত উৎসবের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় সকালে শুরু হবে অনুষ্ঠানমালা। চলবে রাত পর্যন্ত। ধানম-ির রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চ, পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ্ পার্ক এবং উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র সরণির উন্মুক্ত মঞ্চে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হবে। এছাড়াও বর্ণাঢ্য বসন্ত শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ।