ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

আজি এ বসন্তে বর্ণময় ভালোবাসার দিন

  • অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপলোড সময় : ০৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ২১৪ বার দেখা হয়েছে।

আজ পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। আর এ দিবস দু'টির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ফুল। বিশেষ এ ক্ষণে ফুল দিয়ে নিজেকে ও প্রিয়জনকে সাজাতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন বিভিন্ন বয়সের নর-নারী

প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে শীতের আড়ষ্টতা ভেঙে জেগেছে প্রকৃতি। দখিনা বাতাসে পাখিদের গান। হৃদয়ের ব্যাকুলতা নিয়ে এসেছে বসন্ত। ঋতুরাজ বসন্ত তার নিজস্ব উষ্ণতায় প্রাণ সঞ্চার করছে। প্রকৃতিতে জেগে উঠেছে নতুন প্রাণ। তাই কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেছেন ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত’। বসন্তে নৈসর্গিক প্রকৃতি বর্ণচ্ছটায় রঙময় হয়ে ওঠে। কচি পাতায় আলোর নাচনের মতোই বাঙালি তরুণ মনে লাগে দোলা। হুদয় হয়ে ওঠে উচাটন। আজ পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে পরিবর্তন আনায় পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস এক দিনেই উদযাপন করছে উৎসবপ্রিয় বাঙালি।

প্রকৃতিতে বসন্ত আর ভালোবাসা যেন একে অন্যের পরিপূরক। বসন্তে শুধু প্রকৃতিই নয়, হৃদয়ও রঙিন হয়ে ওঠে। তাই তো বসন্ত আমাদের কাছে প্রেমের ঋতু। আজ পহেলা ফাগুনের দিনে হবে ভালোবাসার জয়গান। হৃদয় থেকে হৃদয়ের কথাগুলো আজ ভাষা পাবে। মনের মানুষকে মনের কথা বলবে প্রেমিক যুগল। ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ কথাটি প্রকাশ করবে হয়তো ‘হ্যাপি ভ্যালেনটাইন্স ডে’ উচ্চারণ করে। বসন্তের হাওয়া দোলা দিচ্ছে বাঙালির মনোজগতে।

১৪ ফেব্রম্নয়ারি দিনটিকে বিশ্বব্যাপী ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ভালোবাসা দিবসের এই দিনে প্রিয়জনকে ফুল ও বিভিন্ন সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। ভালোবাসা দিবসের জন্য মানুষ কার্ড, ফুল, চকোলেট ও অন্যান্য উপহার সামগ্রী দিয়ে থাকে।

শিমুল-পলাশ-অশোকের শাখায় শাখায় রঙিন ফুলের পসরা সাজিয়ে ঋতুরাজ বসন্ত এসেছে। ঋতুরাজের আগমনে খুলে গেছে দখিনা দুয়ার। মানব-মানবীর চিরন্তন ভালোবাসা উড়ছে রঙিন প্রজাপতি হয়ে। ফুলে ফুলে আছে মৌমাছির গুঞ্জন। আমের মুকুলের ঘ্রাণে সুবাসিত চারপাশ কবিগুরু লিখেছেন, ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে, কোরো না বিড়ম্বিত তারে।’ বসন্ত মানে নতুন প্রাণের কলরব। বসন্তে গাছে গাছে নতুন পাতা আসে। বনতলে কোকিলের কুহুতান

জানান দিচ্ছে, আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে..।বিপুল ঐশ্বর্যধারী ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন আজ। রঙিন ফুলে প্রকৃতি সুশোভিত হয়ে উঠেছে। প্রকৃতি হয়ে ওঠে অপরূপ। তাই তো কানে বাজে ‘আহা আজি এ বসন্তে, এত ফুল ফোটে এত বাঁশি বাজে এত পাখি গায়…।

ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতি সাজে বর্ণিল রঙে। বসন্তের আগমনে প্রকৃতির সঙ্গে তরুণ হৃদয়েও লাগে দোলা। সব কুসংস্কার পেছনে ফেলে, বিভেদ ভুলে, নতুন কিছুর প্রত্যয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা নিয়ে আসে বসন্ত। আবাল-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণী বসন্ত উন্মাদনায় আজ মেতে উঠবে। শীত চলে যাচ্ছে রিক্ত হাতে, আর বসন্ত এসেছে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের গানে শোনা যায়, ‘বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে সই গো, বসন্ত বাতাসে।

বাঙালির জীবনের সঙ্গে একাকার হয়ে আছে বসন্ত। বসন্তের বন্দনা আছে কবিতা, গান নৃত্য আর চিত্রকলায়। প্রিয়জনের স্পর্শ পাওয়ার আকুলতা বসন্তে যেন ধরা দেয় ভিন্ন রূপে। প্রকৃতির রং লাগে মানুষের মনেও। ফাগুনের রক্ত রাঙা দিনে বাতাসে মিশে থাকে ভালোবাসা। তাইতো ফাগুন বন্দনায় মুখর প্রকৃতিপ্রেমীরা। সোনালি রোদের ছোঁয়ায় পলাশগুলো জেগে উঠবে আজ। মৌমাছিদের গুঞ্জরণ, মাতাল হাওয়া ছুঁয়ে যাবে তনুমন। ফাগুনের আগুনলাগা উচ্ছ্বাস প্রিয়তমের হাতে হাত রেখে প্রিয়ার কোমল হৃদয় ব্যাকুল হয়ে উঠবে ঘরবাঁধার স্বপ্নে।

ঋতুরাজের দখিনা বাতাস তাদের হৃদয়-জমিনে ভালোবাসার ঢেউ তুলবে। বাসন্তী রঙের শাড়িতে খোঁপায় হলুদ গাঁদা আর মাথায় ফুলের টায়রার সুষমার শৈল্পিকতা ফুটে উঠবে তরুণীদের। তাদের সঙ্গে পালস্না দিয়ে তরুণরাও কম যাবে না। তরুণরাও ধরা দেবে হলুদ পাঞ্জাবিসমেত একরাশ ফাল্গুনী সাজে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ, টিএসসি, অমর একুশে গ্রন্থমেলা পরিণত হবে মানুষের বাসন্তী রঙের প্রাঙ্গণ। রমনা পার্ক, জাতীয় সংসদ, চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘুরে বেড়াবে রাজধানীবাসী। সর্বত্রই তারুণ্যের উন্মাদনার ঢল নামবে। বসন্ত আর ভালোবাসার মিশেলের এমন দিনকে বরণ করতে ফুলের দোকান আর মার্কেটের শাড়ি-পাঞ্জাবির দোকানগুলোয় ক’দিন ধরে ভিড় দেখা গেছে।

ইটপাথরের এই নগরে বসন্তের লাবণ্যময় স্পর্শ টের পান না অনেকে? নিসর্গে বসন্তের বর্ণচ্ছটা শহরে তেমন সুলভ নয়। তবে মানবহৃদয় বসন্তের প্রভাব এড়াতে পারে না বলেই হয়তো আজ এই যান্ত্রিক নগরেও দেখা যাবে নাগরিকদের বেশভূষায়, উৎসব আয়োজনে ঋতুরাজের আগমনীর উচ্ছ্বাস। বসন্ত মানেই পূর্ণতা। বসস্ত মানেই নতুন প্রাণের কলরব। কচিপাতায় আলোর নাচনের মতোই বাঙালির মনেও লাগবে দোলা। বিপুল তরঙ্গ প্রাণে আন্দোলিত হবে বাঙালি মন। শুধু শহরেই নয়, বাংলার গ্রামীণ জনপদেও আজ ঝিরিঝিরি বাতাসে ধরা দেবে বসন্ত।

বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস এসেছে হাত ধরাধরি করে। তাই বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবস পালন করা হচ্ছে একই দিনে। মোগল সম্রাট আকবর প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন ১৫৮৫ সালে। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বসন্ত উৎসব। তাই বসন্ত উৎসব শুধু একটা উৎসব নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য।

এবারও রাজধানীতে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে জাতীয় বসন্ত উদযাপন পরিষদ। সকাল থেকে চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় যন্ত্রসঙ্গীতের সুরমূর্ছনা দিয়ে শুরু হবে এ উৎসব। বকুলতলা সাজবে বাসন্তী রাঙা ভালোবাসায়। গান, কবিতা আর সম্মেলক নৃত্যে শুরু হবে নগরবাসীর বসন্ত উদযাপন। বকুলতলার আনাচে-কানাচে বসন্তের বন্দনা-গানে মেতে উঠবে নগরবাসী।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আজি এ বসন্তে বর্ণময় ভালোবাসার দিন

আপলোড সময় : ০৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে শীতের আড়ষ্টতা ভেঙে জেগেছে প্রকৃতি। দখিনা বাতাসে পাখিদের গান। হৃদয়ের ব্যাকুলতা নিয়ে এসেছে বসন্ত। ঋতুরাজ বসন্ত তার নিজস্ব উষ্ণতায় প্রাণ সঞ্চার করছে। প্রকৃতিতে জেগে উঠেছে নতুন প্রাণ। তাই কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেছেন ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত’। বসন্তে নৈসর্গিক প্রকৃতি বর্ণচ্ছটায় রঙময় হয়ে ওঠে। কচি পাতায় আলোর নাচনের মতোই বাঙালি তরুণ মনে লাগে দোলা। হুদয় হয়ে ওঠে উচাটন। আজ পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে পরিবর্তন আনায় পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস এক দিনেই উদযাপন করছে উৎসবপ্রিয় বাঙালি।

প্রকৃতিতে বসন্ত আর ভালোবাসা যেন একে অন্যের পরিপূরক। বসন্তে শুধু প্রকৃতিই নয়, হৃদয়ও রঙিন হয়ে ওঠে। তাই তো বসন্ত আমাদের কাছে প্রেমের ঋতু। আজ পহেলা ফাগুনের দিনে হবে ভালোবাসার জয়গান। হৃদয় থেকে হৃদয়ের কথাগুলো আজ ভাষা পাবে। মনের মানুষকে মনের কথা বলবে প্রেমিক যুগল। ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ কথাটি প্রকাশ করবে হয়তো ‘হ্যাপি ভ্যালেনটাইন্স ডে’ উচ্চারণ করে। বসন্তের হাওয়া দোলা দিচ্ছে বাঙালির মনোজগতে।

১৪ ফেব্রম্নয়ারি দিনটিকে বিশ্বব্যাপী ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ভালোবাসা দিবসের এই দিনে প্রিয়জনকে ফুল ও বিভিন্ন সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। ভালোবাসা দিবসের জন্য মানুষ কার্ড, ফুল, চকোলেট ও অন্যান্য উপহার সামগ্রী দিয়ে থাকে।

শিমুল-পলাশ-অশোকের শাখায় শাখায় রঙিন ফুলের পসরা সাজিয়ে ঋতুরাজ বসন্ত এসেছে। ঋতুরাজের আগমনে খুলে গেছে দখিনা দুয়ার। মানব-মানবীর চিরন্তন ভালোবাসা উড়ছে রঙিন প্রজাপতি হয়ে। ফুলে ফুলে আছে মৌমাছির গুঞ্জন। আমের মুকুলের ঘ্রাণে সুবাসিত চারপাশ কবিগুরু লিখেছেন, ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে, কোরো না বিড়ম্বিত তারে।’ বসন্ত মানে নতুন প্রাণের কলরব। বসন্তে গাছে গাছে নতুন পাতা আসে। বনতলে কোকিলের কুহুতান

জানান দিচ্ছে, আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে..।বিপুল ঐশ্বর্যধারী ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন আজ। রঙিন ফুলে প্রকৃতি সুশোভিত হয়ে উঠেছে। প্রকৃতি হয়ে ওঠে অপরূপ। তাই তো কানে বাজে ‘আহা আজি এ বসন্তে, এত ফুল ফোটে এত বাঁশি বাজে এত পাখি গায়…।

ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতি সাজে বর্ণিল রঙে। বসন্তের আগমনে প্রকৃতির সঙ্গে তরুণ হৃদয়েও লাগে দোলা। সব কুসংস্কার পেছনে ফেলে, বিভেদ ভুলে, নতুন কিছুর প্রত্যয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা নিয়ে আসে বসন্ত। আবাল-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণী বসন্ত উন্মাদনায় আজ মেতে উঠবে। শীত চলে যাচ্ছে রিক্ত হাতে, আর বসন্ত এসেছে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের গানে শোনা যায়, ‘বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে সই গো, বসন্ত বাতাসে।

বাঙালির জীবনের সঙ্গে একাকার হয়ে আছে বসন্ত। বসন্তের বন্দনা আছে কবিতা, গান নৃত্য আর চিত্রকলায়। প্রিয়জনের স্পর্শ পাওয়ার আকুলতা বসন্তে যেন ধরা দেয় ভিন্ন রূপে। প্রকৃতির রং লাগে মানুষের মনেও। ফাগুনের রক্ত রাঙা দিনে বাতাসে মিশে থাকে ভালোবাসা। তাইতো ফাগুন বন্দনায় মুখর প্রকৃতিপ্রেমীরা। সোনালি রোদের ছোঁয়ায় পলাশগুলো জেগে উঠবে আজ। মৌমাছিদের গুঞ্জরণ, মাতাল হাওয়া ছুঁয়ে যাবে তনুমন। ফাগুনের আগুনলাগা উচ্ছ্বাস প্রিয়তমের হাতে হাত রেখে প্রিয়ার কোমল হৃদয় ব্যাকুল হয়ে উঠবে ঘরবাঁধার স্বপ্নে।

ঋতুরাজের দখিনা বাতাস তাদের হৃদয়-জমিনে ভালোবাসার ঢেউ তুলবে। বাসন্তী রঙের শাড়িতে খোঁপায় হলুদ গাঁদা আর মাথায় ফুলের টায়রার সুষমার শৈল্পিকতা ফুটে উঠবে তরুণীদের। তাদের সঙ্গে পালস্না দিয়ে তরুণরাও কম যাবে না। তরুণরাও ধরা দেবে হলুদ পাঞ্জাবিসমেত একরাশ ফাল্গুনী সাজে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ, টিএসসি, অমর একুশে গ্রন্থমেলা পরিণত হবে মানুষের বাসন্তী রঙের প্রাঙ্গণ। রমনা পার্ক, জাতীয় সংসদ, চন্দ্রিমা উদ্যানে ঘুরে বেড়াবে রাজধানীবাসী। সর্বত্রই তারুণ্যের উন্মাদনার ঢল নামবে। বসন্ত আর ভালোবাসার মিশেলের এমন দিনকে বরণ করতে ফুলের দোকান আর মার্কেটের শাড়ি-পাঞ্জাবির দোকানগুলোয় ক’দিন ধরে ভিড় দেখা গেছে।

ইটপাথরের এই নগরে বসন্তের লাবণ্যময় স্পর্শ টের পান না অনেকে? নিসর্গে বসন্তের বর্ণচ্ছটা শহরে তেমন সুলভ নয়। তবে মানবহৃদয় বসন্তের প্রভাব এড়াতে পারে না বলেই হয়তো আজ এই যান্ত্রিক নগরেও দেখা যাবে নাগরিকদের বেশভূষায়, উৎসব আয়োজনে ঋতুরাজের আগমনীর উচ্ছ্বাস। বসন্ত মানেই পূর্ণতা। বসস্ত মানেই নতুন প্রাণের কলরব। কচিপাতায় আলোর নাচনের মতোই বাঙালির মনেও লাগবে দোলা। বিপুল তরঙ্গ প্রাণে আন্দোলিত হবে বাঙালি মন। শুধু শহরেই নয়, বাংলার গ্রামীণ জনপদেও আজ ঝিরিঝিরি বাতাসে ধরা দেবে বসন্ত।

বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস এসেছে হাত ধরাধরি করে। তাই বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবস পালন করা হচ্ছে একই দিনে। মোগল সম্রাট আকবর প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন ১৫৮৫ সালে। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বসন্ত উৎসব। তাই বসন্ত উৎসব শুধু একটা উৎসব নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য।

এবারও রাজধানীতে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে জাতীয় বসন্ত উদযাপন পরিষদ। সকাল থেকে চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় যন্ত্রসঙ্গীতের সুরমূর্ছনা দিয়ে শুরু হবে এ উৎসব। বকুলতলা সাজবে বাসন্তী রাঙা ভালোবাসায়। গান, কবিতা আর সম্মেলক নৃত্যে শুরু হবে নগরবাসীর বসন্ত উদযাপন। বকুলতলার আনাচে-কানাচে বসন্তের বন্দনা-গানে মেতে উঠবে নগরবাসী।