ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম এ জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

অবসরের পর কী করবেন, জানালেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম

অন্তর্বর্তী সরকারের সময় শেষ হয়ে গেলে ‘গন্তব্য’ কী হবে, এমনটা জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, এটা নিয়ে এখনো ভাবিনি। আমাদের এখনো আরও কয়েক মাস তো আছে। হতে পারে ইলেকশনটা যখন হবে তারপর আমি (প্রেস সচিব পদ) ছেড়ে দেব।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব হিসেবে যুক্ত হওয়ার আগে শফিকুল আলম বার্তা সংস্থা এএফপিতে কাজ করতেন।

কোন কাজ বেছে নেবেন, সে বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রেস সচিবের দায়িত্ব ছাড়ার পর খুব একান্ত ব্যক্তিগত ইচ্ছা বই লেখা। কিন্তু এতে তো সংসার চলে না, আমার তো সংসার চালাতে হবে। সেই চিন্তা করে আমার হয়তো আবার জার্নালিজমে ফিরতে হবে। আবার কেউ কেউ বলেন যে ভাই, আপনি তো প্রেস কনফারেন্স খুব ভালো করেন, রাজনীতিতে আসেন। তবে ওটাও আমি অতটা দেখি না। দুই-তিনজন বলার কারণে রাজনীতির বিষয়টি মাথায় ঘুরছিল, পরে আমি স্ত্রীকে বললাম। সে সাফ বলে দিয়েছে, একদম না; কোনোভাবেই ওটাতে (রাজনীতি) যাওয়া যাবে না।

তিনি আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশে যদি আমি কিছু কন্ট্রিবিউট করতে পারি, সেটাও একটা কাজ হবে। আমার প্রাইমারি ইচ্ছা জার্নালিজমে ফিরে যাওয়া। তবে সেটি লোকাল জার্নালিজমে হতে পারে। নিজে যদি কোনো পত্রিকা দিতে পারি, সেটাও খুব ইচ্ছা আছে।

এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করে শফিকুল আলম বলেন, পুরো পৃথিবীতে তো উনি (ড. ইউনূস) সেলিব্রিটি। এটা আমি আরও জানতে পেরেছি এই গত সাড়ে সাত-আট মাসে। তাকে দেশের বাইরে যে মর্যাদার সঙ্গে ট্রিট করা হয়, সেটি অবিশ্বাস্য।

 

উদাহরণ দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ডাভোসে আমরা গিয়েছি, ওখানে গিয়ে আমরা মাত্র ভেতরে প্রবেশ করেছি। এ সময় খবর আসে যে ড. ইউনূসের সঙ্গে জার্মানির চ্যান্সেলর মানে ওদের প্রাইম মিনিস্টার কথা বলবেন। উনি অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাচ্ছেন। ওনার যে স্ট্রাচার, এটা তো আনবিলিভেবল।

 

অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক অর্জন আছে জানিয়ে তিনি বলেন, অর্জনটা আসলে অনেক তবে দৃশ্যমান না। অর্জনটা আমি দেখি, একটা বিপ্লব হলে যেই ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়, যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়, বাংলাদেশের মানুষ সেই পরিস্থিতিতে পড়েনি। এটা না হওয়ার মূল কারণ প্রফেসর ইউনূসের লিডারশিপের গুণ। দেখেন তিনি কীভাবে এই সিচুয়েশনগুলো হ্যান্ডেল করলেন। আমরা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি। বাংলাদেশকে নতুন করে সবাই চিনছে। আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে।

ভবিষ্যৎ সরকার নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনের পর নির্বাচিত সরকারের কাছে অন্তর্বর্তী সরকার যে বাংলাদেশকে সমর্পণ করবে, সেটি আমার মনে হয় খুবই বেটার ও হেলদি অবস্থায় থাকবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় পুলিশ বাহিনীর মধ্যে কনফিডেন্স যত দ্রুত আনা প্রয়োজন ছিল, সেটি আমরা পারিনি। এই জায়টায় আমাদের অনেক স্ট্রাগল করতে হয়েছে। মাস খানেকের মধ্যে এটিও ঠিক হয়ে যাবে।

 

ঈদ অনুষ্ঠানে শফিকুল আলমের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী সাবিনা জাহান লুনা। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

অবসরের পর কী করবেন, জানালেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম

আপলোড সময় : ১১:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের সময় শেষ হয়ে গেলে ‘গন্তব্য’ কী হবে, এমনটা জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, এটা নিয়ে এখনো ভাবিনি। আমাদের এখনো আরও কয়েক মাস তো আছে। হতে পারে ইলেকশনটা যখন হবে তারপর আমি (প্রেস সচিব পদ) ছেড়ে দেব।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব হিসেবে যুক্ত হওয়ার আগে শফিকুল আলম বার্তা সংস্থা এএফপিতে কাজ করতেন।

কোন কাজ বেছে নেবেন, সে বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রেস সচিবের দায়িত্ব ছাড়ার পর খুব একান্ত ব্যক্তিগত ইচ্ছা বই লেখা। কিন্তু এতে তো সংসার চলে না, আমার তো সংসার চালাতে হবে। সেই চিন্তা করে আমার হয়তো আবার জার্নালিজমে ফিরতে হবে। আবার কেউ কেউ বলেন যে ভাই, আপনি তো প্রেস কনফারেন্স খুব ভালো করেন, রাজনীতিতে আসেন। তবে ওটাও আমি অতটা দেখি না। দুই-তিনজন বলার কারণে রাজনীতির বিষয়টি মাথায় ঘুরছিল, পরে আমি স্ত্রীকে বললাম। সে সাফ বলে দিয়েছে, একদম না; কোনোভাবেই ওটাতে (রাজনীতি) যাওয়া যাবে না।

তিনি আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশে যদি আমি কিছু কন্ট্রিবিউট করতে পারি, সেটাও একটা কাজ হবে। আমার প্রাইমারি ইচ্ছা জার্নালিজমে ফিরে যাওয়া। তবে সেটি লোকাল জার্নালিজমে হতে পারে। নিজে যদি কোনো পত্রিকা দিতে পারি, সেটাও খুব ইচ্ছা আছে।

এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করে শফিকুল আলম বলেন, পুরো পৃথিবীতে তো উনি (ড. ইউনূস) সেলিব্রিটি। এটা আমি আরও জানতে পেরেছি এই গত সাড়ে সাত-আট মাসে। তাকে দেশের বাইরে যে মর্যাদার সঙ্গে ট্রিট করা হয়, সেটি অবিশ্বাস্য।

 

উদাহরণ দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ডাভোসে আমরা গিয়েছি, ওখানে গিয়ে আমরা মাত্র ভেতরে প্রবেশ করেছি। এ সময় খবর আসে যে ড. ইউনূসের সঙ্গে জার্মানির চ্যান্সেলর মানে ওদের প্রাইম মিনিস্টার কথা বলবেন। উনি অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাচ্ছেন। ওনার যে স্ট্রাচার, এটা তো আনবিলিভেবল।

 

অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক অর্জন আছে জানিয়ে তিনি বলেন, অর্জনটা আসলে অনেক তবে দৃশ্যমান না। অর্জনটা আমি দেখি, একটা বিপ্লব হলে যেই ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়, যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়, বাংলাদেশের মানুষ সেই পরিস্থিতিতে পড়েনি। এটা না হওয়ার মূল কারণ প্রফেসর ইউনূসের লিডারশিপের গুণ। দেখেন তিনি কীভাবে এই সিচুয়েশনগুলো হ্যান্ডেল করলেন। আমরা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি। বাংলাদেশকে নতুন করে সবাই চিনছে। আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে।

ভবিষ্যৎ সরকার নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনের পর নির্বাচিত সরকারের কাছে অন্তর্বর্তী সরকার যে বাংলাদেশকে সমর্পণ করবে, সেটি আমার মনে হয় খুবই বেটার ও হেলদি অবস্থায় থাকবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় পুলিশ বাহিনীর মধ্যে কনফিডেন্স যত দ্রুত আনা প্রয়োজন ছিল, সেটি আমরা পারিনি। এই জায়টায় আমাদের অনেক স্ট্রাগল করতে হয়েছে। মাস খানেকের মধ্যে এটিও ঠিক হয়ে যাবে।

 

ঈদ অনুষ্ঠানে শফিকুল আলমের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী সাবিনা জাহান লুনা। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক।